লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে নড়াইলে ভাষা শহীদদের স্মরণ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:২৪ পূর্বাহ্ন, ২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩
‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো নড়াইলবাসী।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কুড়িরডোব মাঠে একটি, দু’টি নয়-লাখো মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে দিবসটি পালন করা হয়। একইসাথে ভাষা দিবসের ৭২ তম বার্ষিকীতে ৭২টি ফানুষ ওড়ানো হয়।
একুশ আলো উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
৬ টা ২০ মিনিটে লাখো মোমবাতি জ্বলে ওঠে এক সাথে। এ সময় ‘আমার ভায়ের রক্ত রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারী, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ১ঘন্টাব্যাপি গণসংগীত শুরু হয়। এবার মাঠে শহীদ মিনার, বর্ণমালা, অল্পনা ছাড়াও বাংলাদেশের নানান ঐতিহ্য তুলে ধরা হয় । অনুষ্ঠানটি মাছরাঙ্গা টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে।
বিশাল এই আয়োজন দেখতে প্রতিবারের ন্যায় এবছরও দুর-দুরান্ত থেকে হাজারো মানুষ নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ খেলার মাঠে এসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন উপভোগ করে।
নড়াইল একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও সরফুল আলম লিটুর উপস্থাপনায় লাখো মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. রবিউল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, একুশের আলো উদযাপন পর্ষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েদ আলী শান্তসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে সুলতান মঞ্চে ১০ হাজার মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তী বছর থেকে কুড়িরডোব মাঠে মোমবাতির সংখ্যা বাড়িয়ে লাখের কোটায় আনা হয়। সেই থেকে নড়াইলে ধারাবাহিকভাবে ২৬ বছর ধরে ভাষা শহীদের স্মরণে এই আয়োজন করা হয়। এ আয়োজন সফল করতে ১মাস পূর্ব থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন। তিন শতাধিক পুলিশ ও সেচ্ছাসেবক মাঠের চারপার্শ্বের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করে থাকেন।