বাংলাদেশের ৫০ বছরে সকল সরকার প্রধান ও আওয়ামী লীগ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ‘সরকার’। বিশ্বের সব দেশেই কোনো না কোনো সরকার ব্যবস্থা রয়েছে। একটি দেশের শাসনব্যবস্থা মূলত সরকারের দ্বারা পরিচালিত হয়। সরকারের মাধ্যমেই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব বোঝা যায়। সকল দেশে সরকার থাকলেও তা এক রকম নয়। নির্বাহী প্রধানের প্রকৃতির উপরই সরকারের প্রকৃতি নির্ভর করে। সাধারণত নির্বাহী প্রধান যদি রাষ্ট্রপতি হয় তবে তা রাষ্ট্রপতিশাসিত সরকার আর নির্বাহী প্রধান প্রধানমন্ত্রী হলে তা মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার। আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হয় এবং জনগণের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি পূরণ করে। সরকার গণতান্ত্রিক, স্বৈরাচারি, এককেন্দ্রিক ও যুক্তরাষ্ট্রীয় হতে পারে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালীর জীবনের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায়। নয় মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে অনেক আত্মত্যাগ জীবন উৎসর্গ, আনন্দ বেদনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক এক রাষ্ট্রের জন্ম হয় পৃথিবীর মানচিত্রে। দেখতে দেখতে বাংলাদেশের বয়স এখন ৫০ বছর। স্বাধীনতার এই ৫০ বছরে বাংলাদেশে অনেকেই সরকার প্রধান হিসাবে কাজ করেছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরে যারা সরকার প্রধান ছিলেন তাদের মধ্যে কেউ রাষ্ট্রপতি, কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেউ প্রধান উপদেষ্টা আবার কেউ সামরিক শাসন জারি করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেছেন।
কিন্তু গত পঞ্চাশ বছরে সরকার প্রধানরা কিভাবে ক্ষমতায় এলেন আর কিভাবে বিদায় নিলেন তা অনেকেই জানেন না।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার আত্মপ্রকাশ করে। কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলায় গঠিত এই সরকারের নাম দেয়া মুজিবনগর সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রেসিডেন্ট, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে ভাইস প্রেসিডেন্ট, তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী হসিাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে দেশে ফিরে এলেন। তখন তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। দুদিন পর ১২ জানুয়ারি বঙ্গভবনে তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এই পদ পরিবর্তনের পেছনে প্রধান কারণ ছিল রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বাধ্যবাধকতা। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি, জাতীয় সংসদে সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী পাস হয়; ফলে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা থেকে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা চালু হয়। ফলে আবারো রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু এর কয়েক মাস পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একদল সদস্য সামরিক অভ্যুত্থান সংঘটিত করে এবং বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার ধানমন্ডি ৩২-এর বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে।
খন্দকার মোশতাক আহমদ
বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম বিশ্বাসঘাতক হিসেবে যে নামটি সবার আগে আসে, তা হলো খন্দকার মোশতাক আহমদ। দেশের আপামর জনগণের কাছে একজন নিন্দিত ও ঘৃণিত ব্যক্তি। বন্ধু হিসেবে বুকে টেনে নেওয়া জাতির পিতার হত্যার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন এই বিশ্বাসঘাতক। জাতির পিতাকে হত্যার পরপরই নিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির দায়িত্বও। পনেরোই অগাস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকরার কয়েক ঘণ্টা পর মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন এবং শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের জাতির সূর্যসন্তান বলে আখ্যা দেন এবং দেশে সামরিক আইন জারী করা হয়। ক্ষমতা গ্রহণের মাত্র ৮৩ দিনের মাথায় ১৯৭৫ সালের ৫ নভেম্বর খালেদ মোশারফের পাল্টা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ৬ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে তাকে বন্দি করা হয়। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা গ্রহণের পর মোশতাক প্রথমে বন্দি থাকলেও ১৯৭৬ সালে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বিচাপতি সায়েমকে ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি দেশের প্রথম প্রধান বিচারপতির দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর সেনাবাহিনীতে অভ্যূত্থান-পাল্টা অভ্যূত্থান চলে। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ও ৬ নভেম্বর এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর বিচাপতি সায়েমকে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম ও জেনারেল জিয়াউর রহমান দালাল আইন বাতিল করার মাধ্যমে কারাগারে আটক ও দন্ডপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়েছিলেন এবং একাত্তরের পরাজিত শক্তি তথা যুদ্ধাপরাধীদেরকে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সিপাহী বিদ্রোহতে খালেদ মোশাররফ নিহত হলে, সেনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আবার চলে যায় জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে। তবে বিচারপতি সায়েম ১৯৭৭ সালের একুশে এপ্রিল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে বহাল ছিলেন, যদিও ক্ষমতার চাবি-কাঠি ছিল জেনারেল জিয়াউর রহমানের হাতে।
জিয়াউর রহমান
১৯৭৫ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল হায়দারসহ বহু সৈনিক ও অফিসারকে হত্যা করা হয়। বহু সৈনিক ও অফিসারদের লাশের ওপর দাঁড়িয়ে এইদিন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জিয়াউর রহমান। পরবর্তী সময়ে এই হত্যার রাজনীতির মধ্য দিয়েই বিএনপি নামক দলটির জন্ম হয়। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সফরকালে একদল বিদ্রোহী সামরিক অফিসার কর্তৃক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। রাষ্ট্রপতি জিয়া নিহত হওয়ার ১ বছরের মধ্যে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনীর প্রধান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের নেতৃত্বে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে।
আব্দুস সাত্তার
বিচারপতি আব্দুস সাত্তার বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতি ছিলেন। প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি প্রথমে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এসময়ে তার বয়স ছিল ৭৬ বছর। পরে তিনি ১৯৮১ সালের ২১ সেপেম্বর দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৬৬% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার শাসনকালে সরকারের মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ১৯৮২ সালে তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তার জায়গায় সামরিক আইন জারীর মাধ্যমে প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দখল করেন।
আবুল ফজল মোহাম্মদ আহ্সান উদ্দীন চৌধুরী
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষণা করেন। মাত্র কয়েকদিন পরে তথা ২৭ মার্চ জেনারেল এরশাদ আহসান উদ্দিন চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদে অভিষিক্ত করেন। ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর এরশাদের চাপে পদত্যাগ করেন এবং রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত হন সামরিক শাসক এরশাদ।
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারের নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেন। ১১ ডিসেম্বর ১৯৮৩ সাল নাগাদ তিনি প্রধান সামরিক প্রশাসক হিসেবে দেশ শাসন করেন। ঐ দিন তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি বিচারপতি এ.এফ.এম আহসানুদ্দিন চৌধুরীর কাছ থেকে নিজের অধিকারে নেন। এরশাদ দেশে উপজেলা পদ্ধতি চালু করেন এবং ১৯৮৫ সালে প্রথম উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৬ সালে তিনি জাতীয় পার্টি প্রতিষ্ঠা করেন এবং এই দলের মনোনয়ন নিয়ে ১৯৮৬ সালে পাঁচ বছরের জন্য দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও জামায়াত এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে যদিও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই নির্বাচন বয়কট করে। সাধারণ নির্বাচনে তার দল সংখ্যা গরিষ্ঠ আসন লাভ করে। বিরোধী দলের আন্দোলনের মুখে তিনি ১৯৮৭ সালের ৭ ডিসেম্বর এই সংসদ বাতিল করেন। ১৯৮৮ সালের সাধারন নির্বাচন সকল দল বয়কট করে। এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে দেশের জনগনকে সাথে নিয়ে সকল বিরোধী দল আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে ৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ সালে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করে। ক্ষমতা হারানোর পর জেনারেল এরশাদ গ্রেফতার হন। ১৯৯১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় আসেন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি।
খালেদা জিয়া
জেনারেল এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাতে বিএনপি জয়লাভ করে। রাজনীতিতে আসার ১০ বছরের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী হন খালেদা জিয়া। ১৯৯১ সালের ২০ মার্চ খালেদা জিয়া দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। খালেদা জিয়ার উদ্যোগে রাষ্ট্রপতি-শাসিত থেকে সংসদীয় সরকারব্যবস্থায় উত্তরণের লক্ষ্যে ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট জাতীয় সংসদে সংবিধানের ঐতিহাসিক দ্বাদশ সংশোধনী বিল পাস হয়। সংসদীয় সরকার ব্যবস্থার অধীনে খালেদা জিয়া ১৯ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জয়যুক্ত হওয়ার পর খালেদা জিয়া দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন হন। অবশ্য অন্যান্য প্রধান রাজনৈতিক দল এ নির্বাচন বর্জন করেছিল। উদ্ভূত রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের লক্ষ্যে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে সন্নিবেশিত করে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালের ৩০ মার্চ একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি আওয়ামী লীগের নিকট পরাজিত হয়।
শেখ হাসিনা
বিচারপতি হাবিবুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬ সালের ১২ জুনের সংসদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, ২৩ জুন তিনি প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ঝঞ্জা-বিক্ষুব্ধ বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগকে ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনেন। তার শাসনামলে আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়াদের পর রাষ্ট্রপতি হন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ। পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে ২০০১ সালের ১৫ই জুলাই সাবেক প্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন তিনি। লতিফুর রহমানের অধীনে ২০০১ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসেন বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া।
আবার খালেদা জিয়া
২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলা