ড. রেজা কিবরিয়ার কর ফাঁকি, এনবিআরের নোটিশ
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
আয়কর দাখিলে অনিয়মের অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ কিবরিয়ার ছেলে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার রাজস্ব কর্তৃপক্ষ এ নোটিশ দিয়েছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জমা দেয়া হলফনামা অনুসারে রেজা কিবরিয়া ঢাকার পূর্বাচলে ১০ কাঠা জমি, উত্তরাধিকার সূত্রে ধানমন্ডিতে ১৪টি ফ্ল্যাট এবং গুলশানে একটি ফ্ল্যাটের মালিক।
তিনি ব্যাংক সুদ থেকে বার্ষিক ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৯৯৫ টাকা এবং পরামর্শক খাত থেকে ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮০ মিলিয়ন টাকা আয় করেন। তার নামে ব্যাংকে ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, স্টক এক্সচেঞ্জে ১৭ লাখ টাকা, বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ ৪০ লাখ টাকা, গাড়ি অর্জনকালীন মূল্য ১০ লাখ টাকা, স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান ধাতু অর্জনকালীন মূল্য ৫ লাখ ১০ হাজার টাকা, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ টাকা, আসবাবপত্র অর্জনকালীন মূল্য ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে হবিগঞ্জের সবচেয়ে ধনী প্রার্থী রেজা কিবরিয়া শিরোনামে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশ হয়। এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, একাধিক ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন, বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন এবং অর্ধ কোটি টাকার শেয়ার থাকলেও তিনি আয়কর নথিতে তা গোপন করেছেন। এছাড়া বিদেশি অনুদান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ধানমন্ডি ও গুলশানের নিজ মালিকানাধীন সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত বিপুল আয় গোপন রেখে রেজা বরাবরই সর্বনিম্ন কর দেন। সম্পদ গোপন, মানি লন্ডারিং ও আয়কর ফাঁকির অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই নোটিশ জারি করা হতে পারে বলে ধারণা করা হয়।
ধানমন্ডিতে সরেজমিনে খোঁজ নিলে জানা যায়, বহুতল ভবনের ১৪টি ফ্ল্যাট ২০১৯ সালে রেজা কিবরিয়ার নামে মালিকানা হস্তান্তর হয়। প্রতিটি ফ্লাটের সর্বনিম্ন ভাড়া ৮০ হাজার হিসাবে রেজা ১৪টি ফ্ল্যাট থেকে বছরে কমপক্ষে দেড় কোটি টাকা ভাড়া আদায় করেন বলে ভাড়াটিয়ারা জানান। এছাড়া ২০১৫ সাল থেকে ইনেট্রো হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত হিসেবে নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক, অংশীদার ও পরিচালক হিসেবে বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন রেজা কিবরিয়া।
এনবিআরের নোটিশের বিষয়টি নিয়ে ড. রেজা কিবরিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তথ্যগুলো সবই মিথ্যা এবং বানোয়াট। মানহানি করার উদ্দেশে ষড়ষন্ত্রমূলকভাবে এগুলো ছড়ানো হচ্ছে।
এসএ/