৯০ লাখ টাকার সড়ক ৯০ দিনও টেকেনি
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
সড়কের বরাদ্ধ কোটি টাকা ছুঁই ছুঁই। প্রায় ৯০ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই সড়ক নির্মাণের পর ৯০ দিনওটেকেনি। ছোটবড় অসংখ্য গর্তসৃষ্টি হয়ে চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই। চট্টগ্রামের আনোয়ারার বটতলী রুস্তমহাট থেকে বরুমচড়া হাজারী সড়কে গিয়ে এই চিত্র চোখে পড়ে। নিম্নমানের কাজহওয়ায় বৃষ্টির পানিতে কার্পেটিং উঠে গিয়ে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে সড়কের এমন বেহালদশার কথা জানেন না সড়ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা উপজেলা এলজিইডি অফিস।
উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহানকে জানানো হলে তিনি প্রথমে সড়কের বেহাল দশার কথাস্বীকারই করতে চাননি। পরে তিনি সড়কটি পরিদর্শণে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন বলেজানিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার ব্যস্ততম বটতলী রুস্তমহাট থেকে বরুমচড়ায় চলে গেছে প্রায় ছয়কিলোমিটারের হাজারী সড়ক। দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকার পর দেড় বছর আগে সড়কটিরকার্পেটিংয়ের কাজের বরাদ্দ দেয়া হয়। ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কের মেরামতের কাজ পান ঠিকাদারজসীম উদ্দিন। কিন্তু নানান অজুহাতে ঠিকাদার কাজটি সম্পন্ন করেন প্রায় দেড় বছর পর।
গত রোজার ঈদের পর হাজারী সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করা হয়। নির্মাণ কাজে অনিয়ম এবংনিম্নমানের সাগগ্রী ব্যবহার করায় সড়কটি তিনমাসও টেকেনি। বিভিন্ন স্থানে ছোটবড় অসংখ্য গর্তহয়ে গেছে। এসব গর্তের কারণে যান ও জন চলাচলে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. এনাম বলেন, এতো নিম্নমানের কাজ করা হয়েছে যা বলার মত নয়। এজন্যতিনমাসও যায়নি। সড়কের কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে।
সিএনজি চালক নবী হোসেন বলেন, আগে দীর্ঘদিন সড়কটি মেরামত না হওয়ায় গাড়ী চালাতেপারতাম না। এখন মেরামত হওয়ার তিন মাসের মধ্যে আগের সেই অবস্থা হয়ে গেছে।
ঠিকাদার জসিম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টির কারণে সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখেছি।বৃষ্টি কমলে সড়কটি আবারো মেরামত করে দেয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী বলেন, ঠিকাদার জসিমেরকারণে আমাদের দলের বদনাম হচ্ছে। সারা আনোয়ারায় বিভিন্ন সড়কের ঠিকাদারি কাজ নিয়েঠিকমত কাজ করে না। বছরের পর বছর ফেলে রাখে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে নেতাকর্মীদেরকাছে আমাদের জবাবদীহি করতে হয়।
এসএ/