চাঁদপুরে রেজিস্ট্রি খাত থেকে ১৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৫৩ অপরাহ্ন, ২৮শে ফেব্রুয়ারি ২০২৩


চাঁদপুরে রেজিস্ট্রি খাত থেকে ১৬৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
সাব-রেজিস্ট্রি অফিস

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের সকল ভুমি রেজিস্ট্রি, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসগুলো পরিচালিত হয়ে আসছে। এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।


জানাজায়, চাঁদপুর জেলা ভুমি রেজিস্ট্রি খাত থেকে গত এক বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৬২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯৩ হাজর,৯০৮ টাকা।


সরকারের অনলাইন সেবার কারণে এ খাতের রাজস্ব আদায় বেড়েছে। এমনকি এ অনলাইন সেবার কারণে হয়রানি অনেকটা কমেছে। অন্যদিকে ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস গুলোতেও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। 


২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলার সকল সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে এ রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। চাঁদপুর জেলায় মোট ৮টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস রয়েছে।


এগুলো হলো চাঁদপুর সদর, ফরিদগঞ্জ, হাজিগঞ্জ, কচুয়া, শাহারাস্তি, মতলব দক্ষিণ, মতলব উত্তর, ও হাইমচরে অবস্থিত।

 

এসকল সাব-রেজিস্ট্রি অফিস গুলির মাধ্যমে ২০২২ এর  জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৭৪ হাজার ৪শত ২২ টি দলিল রেজিস্ট্রি সম্পন্ন করা হয়। 


এই দলিলগুলোর অনুকূলেই ভূমি রেজিস্ট্রি খাত থেকে থেকে১৬২ কোটি ৩৪ লক্ষ ৯৩ হাজার,৯০৮ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়।


যা তার পূর্বের বছর ২০২১ সালের চাইতে প্রায় দ্বি-গুণ বেশি। ২১ সালে রাজস্ব আদায় হয়েছিল,৯৯ কোটি,৪৪ লক্ষ ১১ হাজার টাকা।


এই দলিল গুলোর মধ্যে রয়েছে,সাফ কবলা,দানপত্র,হেবা,বিল এওয়াজ,এওয়াজ,বিনিময়, নাদাবীপত্র,বন্টন  নামা,নির্দেশ পত্র,খাশমোক্তার নামা,চুক্তি পত্র নামা,পার্টনার ডীড,পাওয়ার রহিত করন,ভুল সংশোধন করন ও ঘোষনা পত্র দলিল।


জেলা রেজিস্ট্রি অফিস সূত্রে  জানাযায়, আটটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মধ্যে ফরিদগঞ্জে ১১ হাজার ২৮টি,হাজীগঞ্জে ১১হাজার ৯শত ১১ টি,কচুয়ায় ১৪ হাজার ১৯৮টি,শাহরাস্তিতে ৮ হাজার ১ শত ৮০টি,মতলব দঃ৬ হাজার ৬শত ৪৮টি,মতলব উঃ ৯ হাজার ৬শত ৮০টি,হাইমচরে ১ হাজার ৬শত ২৭টি ও চাঁদপুর সদরে ১১ হাজার ১শত ৫০টি।

খোজ নিয়ে জানাযায়, গত এক বছরে শুধু চাঁদপুর সদর সাব-রেজিস্টি অফিসেই রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫০ কোটি ৯৪ লক্ষ,২৩ হাজার ৩০৭ টাকা।


এবিষয়ে জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোঃখোরশেদ আলম বাবুল জানান,বিগত দিনে করোনার পাদুর্ভাবের কারনে দলিল রেজিস্ট্রি কম হয়েছে, এবং গড় মূল্য একই রেট থাকায় সহনশীল অবস্থা ছিল।


গত বছর গড় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, করোনার পাদুর্ভাব না থাকা এবং সকল কর্মকর্তারা নিয়মিত অফিস করতে পারায় তাদের ভালো আন্তরিকতা ও সহযোগিতা থাকায় আমরা দলিল রেজিস্ট্রি বিগত দিনের ন্যায় বেশী করতে পেরেছি। যার কারনে আমাদের জেলায় রাজস্ব আদায় ও বেশী হয়েছে। 


জেলা রেজিস্ট্রার মো. মহসিন আলম জানান, আমরা সব সমই জনগনকে উত্তম সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি,ভবিষ্যতে যাতে আরো ভালো সেবা দিতে নেই চেষ্টা থাকবে।সরকারের যে খাতগুলো থেকে রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে তার মধ্যে আমাদের ভুমি রেজিস্ট্রি খাত অন্যতম। আমি এই জেলা যতদিন থাকবো জনগনকে হয়রানি মুক্ত সেবা দিয়ে যাবো।


আরএক্স/