রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের কারণ জানতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:১১ পূর্বাহ্ন, ৭ই মার্চ ২০২৩


রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের কারণ জানতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি
রোহিঙ্গা ক্যাম্প

কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকান্ডের কারণ জানতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। 


সোমবার (৬ মার্চ) কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ানকে প্রধান করে এই কমিটিটি গঠন করা হয়।


কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, তাকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিস, এপিবিএন, পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিরা সদস্য রয়েছেন। সোমবার সকাল থেকে গঠিত তদন্ত কমিটি অনুসন্ধানের কাজ শুরু করেছে। আগামি ৩ দিনের মধ্যে কারণ বের করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।


কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ক্যাম্পের অগ্নিকান্ডে দুই হাজার ঘর ভস্মীভূত হয়। এতে ১২ হাজার রোহিঙ্গা ঘর বাড়ি হারায়। সোমবার সকাল থেকে তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ঘর তৈরি করবে। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপি রোহিঙ্গাদের জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে।


তিনি জানান, অগ্নিকান্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপন করা হচ্ছে। অগ্নিকান্ডে নিখোঁজ কিংবা হতাহতের কোন ঘটনা নেই।


শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনারের এক তথ্য বলছে, অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থলে ৫ টি মেডিকেল টিম রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। যেখানে ৯০ জন কমিউনিটি হেলথ কর্মী কাজ করছেন।


এদিকে, সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ, এপিবিএন সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। এর মধ্যে উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনাটি পরিকল্পিত নাশকতা বলে দাবি করছেন সাধারণ রোহিঙ্গারা। ইতিমধ্যে রোহিঙ্গাদের ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হয়েছে।


তদন্ত কমিটি অনুসন্ধানের পর তার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারস্থ অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা।


তিনি জানিয়েছেন, প্রাথমিক অবস্থায় ২ হাজারের মত ঘর পুড়েছে। যেখানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১২ হাজার রোহিঙ্গা। পুড়ে যাওয়ার মধ্যে ৩৫ টি মসজিদ-মক্তব, ২ টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, হেল্প পোষ্ট একটি, যুব কেন্দ্র ১ টি, নারী বান্ধব কেন্দ্র ১ টি, শিক্ষা কেন্দ্র ১ টি, শিশু বান্ধব কেন্দ্র ১ টি, মানসিক পরিচার্যা কেন্দ্র ১ টি পুড়ে গেছে। এপর্যন্ত হতাহতের কোন তথ্যও পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।


রোববার বিকাল ৩ টায় বালুখালীর ১১ নম্বর ক্যাম্প থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এর আগে ২০২১ সালের ২২ মার্চ একই ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা হয়ে ছিল। ওই সময় ১১ জনের মৃত্যু, ৫ শতাধিক আহত হয়। পুড়ে গিয়ে ছিল ৯ হাজারের বেশি ঘর।


আরএক্ম/