নোয়াখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিপর্যস্ত উপকূলের জনজীবন
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, ২৭শে জুলাই ২০২৫

নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অমাবস্যা ও নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে অন্তত তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। প্লাবনে বসতঘর, ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট ও রান্নাঘর পানির নিচে চলে গেছে। এর ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলের মানুষের জনজীবন।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে দ্বীপটির সঙ্গে নৌ-যোগাযোগ শুরু হয়। উপজেলার চেয়ারম্যান ঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে সীট্রাক নলচিরা ঘাটে পৌঁছেছে। দুপুরের দিকে নলচিরা ঘাট থেকে যাত্রীবাহী এক ট্রলার চেয়ারম্যান ঘাটে পৌঁছে।
স্থানীয়রা জানায়, টানা বৃষ্টি ও অসাভাবিক জোয়ারের পানিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলের ক্ষেত, মাছের ঘের ও কাঁচা বাড়ি-ঘরের। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এখানকার নিম্ন আয়ের মানুষ। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। জোয়ারের পানিতে পানিবন্দি রয়েছেন বেড়িবাঁধের বাইরের বেশ কিছু পরিবার। জোয়ারে সুখচর ইউনিয়নের ৩টি ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকা ডুবে যায়। এসব এলাকায় জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে বসতঘর, রান্নাঘর, আঙিনা, রাস্তাঘাট ও মাছের ঘের। সুখচর ছাড়াও নলচিরা, চরইস্বর। এছাড়া নিঝুম দ্বীপের বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দমারচর, ঢালচর, চরগাসিয়া, নলের চর, বয়ার চর, চর আতাউর ও মৌলভীর চর এই চরাঞ্চলগুলোতেও ঢুকে পড়েছে জোয়ারের পানি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, তুপানিয়া, আল-আমিন গ্রাম ও নলচিরা এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, গত দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে মাইজদী, বেগমগঞ্জ, সেনবাগ ও কবিরহাটে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। নোয়াখালী পৌর এলাকার ড্রেন ও খালে ময়লা জমে থাকার কারণে পানি নামছে না, ফলে শহরবাসীও দুর্ভোগে পড়েছেন।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, জোয়ারের পানিতে এখানকার বেশ কিছু বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ কিছু বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকায় হাতিয়ার সঙ্গে নৌ যোগাযোগ শুরু হয়েছে।
এসডি/