ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলছে অনির্দিষ্টকালের সিএনজি চালিত অটোরিকশার কর্মবিরতি
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:৩০ অপরাহ্ন, ২৭শে জুলাই ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করেছে সিএনজি চালিত অটোরিকশার শ্রমিকরা।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল থেকে জেলা জুড়ে এই কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। সকালে স্ট্যান্ড গুলো থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যায়নি কোন অটোরিকশা। এতে করে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। চাপ বেড়েছে অন্যান্য গণপরিবহনে। পাশাপাশি বেশ কিছু জায়গায় ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় হামলা করা হয়েছে।
সিএনজির মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, সড়কে ট্রাফিক পুলিশের লাগাতার হয়রানি, অতিরিক্ত অর্থ দাবি, বিনা কারণে গাড়ি জব্দ এবং লাইসেন্স সংক্রান্ত দুর্নীতির প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। তাদের দাবি, ট্রাফিক পুলিশ ঘুষ না দিলে মামলা ও জরিমানার ভয় দেখিয়ে হয়রানি করছে। বর্তমানে প্রায় ৫২টি সিএনজি অটোরিকশা জব্দ রয়েছে।
এছাড়াও, বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে গেলেও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিএনজি লাইসেন্স কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে, ফলে মালিক-চালকরা আইনি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমাদের পদে পদে হয়রানি করা হচ্ছে।
তাদের দাবি, আমাদের আটককৃত গাড়ীগুলি নিঃশর্তভাবে ছাড়তে হবে।পারমিট অনুযায়ী আমাদেরকে জেলার সর্বত্র চলতে দিতে হবে ও জেলা ট্রাফিকের নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তাদের দাবি মানা না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে বলে জানান সিএনজি নেতারা।
এর আগে শনিবার শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালিক শ্রমিকরা।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার এহতেশামুল হক বলেন, ট্রাফিক পুলিশ যানযট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে। যাদের কাগজ পত্র নেই বা রেজিষ্ট্রেশন ছাড়া চলছে তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। কাগজপত্র আনলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। যাদের কাগজপত্র আছে তারা নির্বিঘ্নে চলতে পারছে। তারা চাচ্ছে তাদের কোন গাড়ি যেন আমরা না ধরি। ট্রাফিক পুলিশ যেন কোন ব্যবস্থা নিতে না পারে। আর তাদের কোন প্রতিনিধিও এবিষয়ে আমাদের কাছে আসেননি।
এসডি/