হাসন রাজা সকলের পুরো দেশের
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৪৭ অপরাহ্ন, ১১ই মার্চ ২০২৩
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট বলেছেন, হাসন রাজা কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, হাসন রাজা সকল জনগণের, সুনামগঞ্জ তথা সারা বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ, তাই হাসন রাজাকে নিয়ে দ্বিধা না করে আমাদের জেলা প্রশাসক যে প্রস্তাব দিয়েছেন একটি অস্থায়ী হাসন রাজা মিউজিয়াম তৈরির সেটিতে আপনারা রাজি হয়ে যান। এক্ষেত্রে জেলা পরিষদের কোন সাহায্য লাগলে সেটি আমরা করব।
তিনি বলেন, আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করতে চাই হাসন রাজাকে নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দ্ব বন্ধ করেন, আপনারা ভাইদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে এক গ্রুপ কিছুদিন আগে অনুষ্ঠান করেছেন আরেক গ্রুপ আজ করছেন সেটা থেকে আপনারা বেরিয়ে আসুন হাসন রাজাকে সবার মধ্যে বিলিয়ে দেন, সবার উদ্যোগে সবার অংশগ্রহণে সুনামগঞ্জে আমরা বড় করে আমরা হাসন উৎসব পালন করব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জ জেলা ঐতিহ্য যাদুঘর প্রাঙ্গণে হাসন রাজা পরিষদের আয়োজনে হাসন রাজা মৃত্যু শতবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসন রাজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান তাছাদ্দুক রাজা ইমনের পরিচালনায় ও হাসন রাজা পরিষদের সভাপতি ও হাসন রাজা গবেষক সামারীন দেওয়ানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী।
এ সময় অন্যান্যদের বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ রজত কান্তি সোম, সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ, সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক শামছুল আবেদীন, হাসন রাজা পরিষদের সহ-সভাপতি মলয় চক্রবর্তী রাজু, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আকিকুর রহমান, প্রদীপ পাল নিতাই, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক রেজিস্টার জামিল চৌধুরী, সাবেক লে. কর্নেল আতাউর রহমান পীর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে হাসন রাজার উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রভাষক রওশন আলম। অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী মরমী কবি হাসন রাজাকে পারিবারিক সমস্যার অবসান এবং হাসন রাজা মিউজিয়ামটি করতে চাইলে সরকারের কাছে হস্তান্তর করার আহ্বান জানান, এরকম হলে সুনামগঞ্জ পুরাতন কালেক্টর ভবনেই অস্থায়ীভাবে হাসন রাজা মিউজিয়ামটি পুনরায় শুরু করার আশ্বাস প্রদান করেন।
আলোচনা সভা শেষে অতিথি ও স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে হাসন রাজার গান পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় সকলের মধ্যে।