সরকারি ঘরের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে প্রতিবন্ধি দম্পতি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, ১২ই মার্চ ২০২৩


সরকারি ঘরের জন্য প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে প্রতিবন্ধি দম্পতি
প্রতিবন্ধি দম্পতি

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ার আশরাফুল ইসলাম (২০) ও হাবিবা খাতু (১৬) শারীরিকভাবে অক্ষম (প্রতিবন্ধি) দম্পতির দু’বেলা দুমুঠো খাবার বিভিন্ন বিত্তবানদের মাধ্যমে জুটলেও একটি মাথাগোজা ঠাঁই একটি সরকারি ঘর পাওয়ার আশায় প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন এই দম্পতি। 


ইতিমধ্যে তার দায়িত্ব নিয়েছেন স্থানীয় কার্পাসডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস। বাবা মা,হারা মানুষিক প্রতিবন্ধি আশরাফুল ইসলাম দুই ভাই এক বোন। ভাই বোনের মধ্যে সে বড়। মাস দেড়েক আগে অসহায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি আশরাফুল উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে হাবিবা খাতুন (১৬)কে বিয়ে করে। 


মঙ্গলবার (৭মার্চ) এই দম্পতি তার স্ত্রী’র প্রতিবন্ধি ভাতা সুবিধা, আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর পাওয়ার জন্য কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাসের কাছে যান। চেয়ারম্যান তাদের চলাচলসহ সকল ধরনের খোঁজ খবর নেন। এ সময় চেয়ারম্যান তাদের অসহায়ত্ব বুঝতে পেরে তাদের খাওয়া দাওয়া চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নেন। তিনি উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করবেন তাদের প্রতিবন্ধি ভাতা সুবিধা ও মাথা গোঁজার আশ্রয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনে যোগাযোগের জন্য সহায়তা করার আশ্বাস দেন। 


প্রতিবেশী ভূমিহীন পাড়ার মসজিদের মোয়াজ্জিন মোহাম্মদ আলি বলেন, ছেলেটি পাগল সে কোন কাজ কাম করতে পারে না তাদের কষ্টের শেষ নেয়। তাদের মা,বাবা হারা ছেলেটি ছোট ভায়ের কাছে কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীন পাড়ায় থাকে। তার ছোট ভাই শ্রমিকের কাজ করে কোন মতে খেয়ে না খেয়ে খুব কষ্টে তাদের দিন কাটে। এদের মত এতিম অসহায় মানুষের পাশে যারা দাড়াবে আল্লাহ তাদের ভালো রাখবেন।


কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, এই প্রতিবন্ধি দম্পতি আমার কাছে আসলে তাদের অসহায়ত্বের কথা শুনে তাদের খাওয়া দাওয়া ও চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন এদের দেখাশোনা করবো। আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর ফাঁকা পড়ে আছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতার সাথে কথা বলে দেখবো ঐ ঘরটি তাদের দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায় কিনা। 


তিনি আরও বলেন, আমার পিতা মৃত রহিম বক্স বিশ্বাস সবসময় অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে সাহায্য সহযোগিতা করে এসেছেন আমি আমার পিতার আদর্শকে ধরে রাখতে সকল সময় অসহায় মানুষের সহায়তা করে থাকি। এরই মধ্যে আমি ৭জন শিক্ষার্থীর লেখা পড়ার দায়িত্ব নিয়েছি এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অসহায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা হয়।


দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জেল হক এই দম্পতির বিষয় বলেন, ছেলেটি প্রতিবন্ধী ভাতা পান কিন্তু তার স্ত্রী হাবিবা খাতুন কোন আবেদন করেনি,তবে তাকে প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে না, তার বয়স খুবই কম সে শিশু। প্রতিবন্ধী হলে সে অবশ্যই ভাতা পাবে।