শ্রীনগরে টমেটোর ভালো ফলনে লাভবান কৃষক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, ১৫ই মার্চ ২০২৩


শ্রীনগরে টমেটোর ভালো ফলনে  লাভবান কৃষক
টমেটো

শ্রীনগরে টমেটো চাষে লাভবান হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। টমেটোর বাজার পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকেদের মুখে হাসি ফুটেছে। তারা বলছেন প্রতি কেজি টমেটো পাইকারীভাবে বিক্রি করতে পারছেন ১৮-২০ টাকা করে। এছাড়া শীতকালীন আগাম টমেটোর কেজি বিক্রি করেছেন ৩৫-৪০ টাকা করে। এখন টমেটোর ভরা মৌসুমও দাম কমেনি। বর্তমানে খুচরা বাজারে টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা করে। ধারনা করা হচ্ছে আসছে রোজার মাসে টমেটোর বাজার বৃদ্ধি পাবে। এতে টমেটো বাগানের বাড়তি যত্ন নিচ্ছেন স্থানীয় সবজি চাষিরা।


সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার আড়িয়াল বিলের বিভিন্ন ভিটায় শীতকালীন আগাম টমেটো ও অন্যান্য শাক-সবজি চাষ করে সফল হয়েছে এ অঞ্চলের কৃষকরা। আড়িয়াল বিল এলাকার বাড়ৈখালী, শ্রীধরপুর, বাড়ৈখালী, গাদিঘাট,শ্যামসিদ্ধি, দেউলভোগ দয়হাটা এছাড়াও উপজেলার আটপাড়া, বীরতারা, তন্তর, কুকুটিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে অল্প খরচে টমেটো ক্ষেতি করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন এখানকার উদ্যোক্তারা। 


লক্ষ্য করা গেছে, হাইটম, দিপালী ও বাহুবালী হাইব্রিড জাতের টমেটোর আবাদ করা হচ্ছে। বাগানে সারিবদ্ধ গাছে থোকায় থোকায় অসংখ্য গোলার টমেটোর সমারোহ। ফসলের ভাড়ে গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জানা গেছে, ১ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল টমেটোর উৎপাদণ হয়ে থাকে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ মণ। এ পরিমাণ জমিতে টমেটো চাষে খরচ পড়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা। বাড়ৈখালী এলাকার মহিউদ্দিন ও জহির নামে দুই উদ্যোক্তা জানান, তারা বছরের প্রথম দিকে ভিটায় (৭০ শতাংশ জমি) আগাম টমেটোর চাষ করে লাভবান হয়েছেন। পাইকারীভাবে উৎপাদিত টমেটোর কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। 


টমেটোর ভরা মৌসুমেও দাম পাচ্ছেন তারা। কুকুটিয়ার পাঁচলদিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ৬০ শতাংশ জমিতে টমেটোর চাষ করেন তিনি। গত মৌসুমে প্রায় ৬শ’ মণ টমেটো উৎপাদিত হয়েছে তারা। বাজার কম থাকায় তেমন সুবিধা হয়নি। এবারও সমপরিমাণ জমিতে টমেটোর আবাদ করেছেন। টমেটোর বাজার পাওয়ায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন তিনি। একই এলাকার সাইফুল ইসলাম বলেন, গেলো বছর টমেটোর বাম্পার ফলন হলেও এর বাজার মূল্য কম পেয়েছেন। 


এবার ফলন কিছুটা কম হলেও টমেটোর বাজার ভালো পাচ্ছেন। এ চাষে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। লাখ টাকার অধিক টমেটো বিক্রি করবেন তিনি। বীরতারা এলাকার টুকানী মাদবর ও সুরুজ শেখ জানান, হাইব্রিড জাতের টমেটোর চাষ করেছেন তারা। প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে টমেটোর সাথি ফসল হিসেবে আখের চারা রোপণ করেছেন। টমেটো তোলা শেষে আখের যতœ নিবেন তারা। টমেটোর গেলো মৌসুমের লোকসান কাটিয়ে এবার লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। 


উপজেলা কৃষি অফিসার শান্তনা রানী জানান, উপজেলায় প্রায় সাড়ে ৬শ’ হেক্টর জমিতে টমেটোসহ অন্যান্য শাক-সবজির আবাদ করা হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল সবজি চাষে স্থানীয়দের বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। টমেটো চাষ লাভজনক হওয়ায় স্থানীয়দের এ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।