লামার পাহাড়ি ফুল ঝাড়ুর কদর দেশজুড়ে


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন, ১৬ই মার্চ ২০২৩


লামার পাহাড়ি ফুল ঝাড়ুর কদর দেশজুড়ে
ছবি: দৈনিক জনবাণী

পাহাড় থেকে ফুল সংগ্রহ করে ঝাড়ু বানিয়ে বিক্রি করে জীবন-জীবিকা চালাচ্ছেন পাহাড়ের হাজারও মানুষ। দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছে এই ফুল ঝাড়ু। কারণ অন্য ঝাড়ুর চেয়ে পাহাড়ের ফুলঝাড়ুর গুণমান ভালো, টিকে বেশি দিন এবং দেখতে সুন্দর।


লামা উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়ন ও ২নং সদর ইউনিয়নের দুর্গম এলাকা থেকে নৌকায় করে আসে ফুল ঝাড়ু। নৌকা থেকে এসব ফুল ঝাড়ু সারি সারি করে উঠানো হয় বাজারে অপেক্ষারত ট্রাকে। পাহাড়ের উৎপাদিত এসব ফুলের ঝাড়ুর কদর রয়েছে দেশজুড়ে। এসব ফুলের ঝাড়ু সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝাড়ু ফুল শ্রমিকরা।


মাঘ মাস থেকে বান্দরবানের লামা, আলীকদম, থানচি, রুমা, রোয়াংছড়ি, নাইক্ষ্যংছড়ি সড়কের যেদিকে চোখ যায়, শুধু ঝাড়ফুলের সমারোহ। ফুল থাকবে চৈত্র মাস পর্যন্ত। সারা দেশে রয়েছে এই ঝাড়ুর চাহিদা। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ফুটে থাকে ঝাড়ফুল। তবে ভিন্নধর্মী এই ফুল ঘরে সাজিয়ে রাখা হয় না,খোঁপাতেও এর ঠাঁই মেলে না। ঝাড়ু ফুল পরিছন্নতার কাজে ব্যাবহার হয়।


এদিকে,ফুল ঝাড়ু বিক্রয় করতে রুপসী পাড়া বাজারে আসা কলাঝিরি বাসিন্দা মংপ্রু মারমাসহ কয়েকজন জানায়,পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে ফোঁটা এই ফুলের ১৫ থেকে ২০ টি  দিয়ে আঁটি বেঁধে ঝাড়ু বানানো হয়। সেই ঝাড়ু স্থানীয় বাজারে বিক্রি হয় ২০ টাকায়। বেশ কয়েক বছর ধরে তারা এই ফুল ঝাড়ু বিক্রয় করে লাখ লাখ টাকা আয় করে পরিবারের ভরণ পোষন করে আসছেন


চট্টগ্রাম থেকে আসা পাইকার ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, লামায় ফুল ঝাড়ু কিনতে এসেছেন তিনি পাহাড়ি ফুল ঝাড়ুর কদরের কথা শুনে তিনিও বেশ কয়েকবছর ধরে লামা থেকে ঝাড়ু ক্রয় করে আসছেন। প্রতি ট্রাকে প্রায় ৩ হাজার বান্ডেল ফুল ঝাড়ু পরিবহন করা যায়। এছাড়া প্রতি বান্ডেল এক থেকে দেড় হাজার টাকা ক্রয় করে থাকেন। পাশাপাশি সেগুলো শহরে নিয়ে খুচরা বাজারে বিক্রি করে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আয় হয়।


ঝাড়ু ফুল ব্যবসায়ী আল আমিন ও ফিরোজ জানান, একটি ট্রাক ভর্তি করতে হলে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ টাকার ফুল কিনতে হয়। পাহাড়ি এই ফুলঝাড়ুর চাহিদা দিন দিন চাহিদা আরো বাড়ছে বলেও তারা জানান।


লামা বন বিভাগ জানায়, ফুল ঝাড়ু থেকে পাওয়া রাজস্ব সরকারের তহবিলে জমা হয়। যারা ঝাড়ু ফুল সংগ্রহ করেন, তাদের আমরা নিরুৎসাহিত না করে নিয়ম অনুযায়ী পারমিট দিয়েছি। বাণিজ্যিকভাবে বাগান করতে পারলে এটি লাভজনক পেশা হতে পারে।