টানা বাস চালিয়ে ক্লান্ত ছিলেন চালক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:১১ অপরাহ্ন, ২০শে মার্চ ২০২৩


টানা বাস চালিয়ে ক্লান্ত ছিলেন চালক
ছবি: জনবাণী

টানা ৩৩ ঘণ্টার বেশি বাস চালিয়ে ক্লান্ত ছিলেন ইমাদ পরিবহনের চালক জাহিদ হাসান। চালক ক্লান্ত শরীরে চোখে ঘুম নিয়ে অতিরিক্ত গতিতে বাস চালানোর জন্য এতো মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। 


এদিকে মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে বাস দুর্ঘটনায় চালকসহ ২০ যাত্রী নিহত হন। 


রবিবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের বাসটি শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে খাদে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় নিহত ছাড়াও আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। 


পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, দুর্ঘটনায় নিহত ২০ জনের মধ্যে ১৭ জনের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে রাখা হয়। বাকি দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।


এদিকে গতকাল বিকেলে চালক জাহিদের ছেলে রাতুল হাসান বাবার মরদেহ শনাক্ত করতে এসে বলেন, মাসে দুই দিন বাড়ি আসতেন বাবা। গাড়ি চালিয়ে তিনি সব সময় ক্লান্ত থাকতেন।  বাবা শনিবার রাতে ফোনে জানান, তিনি অনেক ক্লান্ত ছিলেন। 


ইমাদ পরিবহনের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কোম্পানির বাস যারা চালান, তাদের বিশ্রামের জন্য প্রতিটি জায়গায় আমাদের ঘর রাখা আছে।


শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ওসি আবু নাঈম মো. মোফাজ্জেল বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জেনেছি, ইমাদ পরিবহনের বাসটির চালক কোনোরকম বিশ্রাম না নিয়ে বাসটি চালাচ্ছিলেন। দীর্ঘ ৩৩ ঘণ্টা ধরে গাড়ি চালানোর কারণে ক্লান্ত ছিলেন।


শিবচরের ইউএনও রাজিবুল ইসলাম জানান, এখানে ১৭ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। পরে চালকের নাম পাওয়াসহ মোট ১৭ জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে। শনাক্তকৃতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।