পাঁচ ব্যাংকের প্রশ্নপত্র ফাঁস: বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন কারাগারে
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, ২১শে মার্চ ২০২৩
বুয়েট শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধরের বিরুদ্ধে করা রাষ্ট্রায়ত্ত ৫ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকা চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন নিখিল রঞ্জন ধর। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম। এরপর তিনি নিখিল রঞ্জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন, আহ্ছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান ওরফে রয়েল (২৬), পরীক্ষার্থী রাইসুল ইসলাম ওরফে স্বপন (৩৬), পিয়ন দেলোয়ার হোসেন (৩১), কর্মী রবিউল আউয়াল (৪১), পারভেজ মিয়া (২৬), জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা শামসুল হক ওরফে শ্যামল (৩৪), আবদুল্লাহ আল জাবের (৩৪), মিজানুর রহমান মিজান (৩৭), রূপালী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানে আলম ওরফে মিলন (৩২), মোবিন উদ্দিন (৩২), মোস্তাফিজুর রহমান (৩৭), সোহেল রানা (৩৫), পরীক্ষার্থী রাশেদ আহমেদ ওরফে বাবলু (৩৭), জাহাঙ্গীর আলম জাহিদ (৩৮) এবং রবিউল ইসলাম ওরফে রবি (৪১)।
২০২১ সালের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রাথমিক পরীক্ষা হয়। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের পর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্তে নামে। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ চাকরিপ্রত্যাশী অংশ নেন।
এঘটনায় ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বিশ্বাস বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন। মামলা তদন্ত করে গত বছরের নভেম্বর মাসে ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। তবে মামলার অভিযোগপত্র থেকে শিক্ষক নিখিল রঞ্জনকে কেন বাদ দেওয়া হলো, তা জানতে চেয়ে গত ২৫ জানুয়ারি আদেশ দেন আদালত।
এরপর গত ২৯ জানুয়ারি বুয়েটের অধ্যাপক নিখিল রঞ্জনসহ ১৬ জনকে আসামি করে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে গোয়েন্দা পুলিশ।