স্বামীর দোষে ২ শিশুসহ স্ত্রীকে গ্রেফতার: জামিন মঞ্জুর


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, ২৩শে মার্চ ২০২৩


স্বামীর দোষে ২ শিশুসহ স্ত্রীকে গ্রেফতার: জামিন মঞ্জুর
স্বামীর দোষে গ্রেফতার হওয়া ২ শিশুসহ স্ত্রী

কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে একটি মামলার প্রেক্ষিতে স্বামীকে না পেয়ে স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর এই নারীর সাথে ছিল ৬ মাস ও ২ বছর বয়সের ২ শিশু। 


মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাতে ২ শিশু সহ নারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার সকালে পাঠানো হয় আদালত।  আদালত ২ শিশু সহ নারীকে জামিন প্রদান করেছেন।


ইতিমধ্যে ২ শিশু সহ এ নারীকে থানা হাজতে রাখার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।


এ নারী ফরিদা ইয়াসমিন ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব ফরাজী পাড়া এলাকার মৃত নজির আহমেদের ছেলে শাহজাহানের স্ত্রী।


ঈদগাঁওর জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ জানান, সোমবার পূর্ব ফরাজী পাড়া এলাকায় মৃত নজির আহমেদের ছেলে শাহজাহান ও মৃত আবু শামার ছেলে হারুন অর রশীদের মধ্যে নলকূপের পানি চলাচল নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। 


এ সময় শাহাজাহান নামের এক যুবক হারুন অর রশীদকে (নীলকার্ড) নখ কাঁটার যন্ত্র দিয়ে আঘাত করে। হারুন অর রশীদকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে খবর পেয়ে ঈদগাঁও থানার এসআই গিয়াস উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিকেলে শাহাজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায়। 


এ সময় শাহাজাহানকে না পেয়ে তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনসহ দুগ্ধজাত এক শিশু এবং ২ বছরের আরো এক শিশুকে থানায় নিয়ে যায়। পরে ভিকটিম হারুন অর রশীদের স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে নাটকীয় কায়দায় মামলা রেকর্ড করে আদালতে সোপর্দ করে। বুধবার আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।


জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ আরো জানান, ঘটনাটি মিমাংসা যোগ্য, পুলিশ অতিরঞ্জিত করে নিরীহ স্ত্রী এবং নিষ্পাপ দুই শিশুকে ধরে এনে আদালতে সোপর্দ করেছে। এটি অমানবিক নিষ্ঠুরতা। স্বামী, পিতার দোষে নিরীহ বাচ্চাদের ধরে এনে মামলা দায়ের করাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো ঘটনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।


এসআই গিয়াস উদ্দিন জানান, মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শাহজাহানের স্ত্রীকে আটক করে আনা হয়েছে। পরে ভিকটিম হারুন অর রশীদের পরিবার মামলা দায়ের করলে, সে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে।


এ বিষয়ে জানতে ঈদগাঁও থানার ওসি মো. গোলাম কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভিকটিমের পরিবার এজাহার জমা দিয়েছে, এজাহারের ভিত্তিতে তাদের আটক করা হয়েছে। বাচ্চাদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনায় রাখা হয়েছিল।