বলসুন্দরী লাগিয়ে এলাকায় চমক দুই বন্ধুর


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বলসুন্দরী লাগিয়ে এলাকায় চমক দুই বন্ধুর

রাণীশংকৈল প্রতিনিধি: স্বপ্ন ছিল উদোক্তা হওয়ার। কারণ মামাতো ভাই কোম্পানীর চাকুরী ছেড়ে করেছেন বাগান। হয়েছেন সাবলম্বী। তারই পরামর্শে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের দুই বন্ধু মিলে লিজ নিলেন প্রায় ৪ বিঘা জমি । করবেন স্বপ্নের বাগান।  সেই স্বপ্নের বাগানে বরই আর মাল্টার গাছ লাগিয়ে এলাকায় চমক লাগিয়ে দিয়েছেন দুই বন্ধু।

কথা হয় বাগান মালিক শরিফুল ইসলাম ও আফসার আলী নামে দুইবন্ধুর সাথে। তারা জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে বলসুন্দরী জাতের বরই এবং কৃষি অফিস হতে পাওয়া কিছু মাল্টার চারা সংগ্রহ করে রোপন করি। পৌরশহরের মহলবাড়ী এলাকার সেই বাগান ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে তাদের রোপনকৃত বরই গাছে গাছে থোকায় থোকায় দুলছে বরই, আর এমন সাফল্যে দুইবন্ধু ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন। বরই কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারজাত করা হবে বলে তারা জানান। 

আলাপচারিতার মাঝে শরিফুল ইসলাম জানান, আমরা দুইবন্ধু মিলে একদিন আমার মামাতো ভাইয়ের বাগান দেখতে যাই। সেখান থেকে বাগান চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে বছরখানেক আগে মিশ্র ফলের বাগান করার চিন্তা করি। তারপরে শুরু হয় আমাদের দুজনের পথচলা। প্রথমে আমরা বরই আর মাল্টা মিলে সাড়ে আটশত গাছ রোপন করি। বর্তমানে  বরই বাজারজাত করে ৫ লক্ষ টাকার মত পাবো বলে আমরা আশাবাদী এবং সেই সাথে মাল্টা গাছ থেকেও ভালো কিছু সম্ভাবনা দেখছি আমরা।

আফসার আলী জানান,আমাদের উদ্যেশ্য শুধু বড় হওয়া নয়। আমরা  চাই আমাদের দেখে এলাকার বেকার যুবকরা বাগান চাষে আগ্রহ প্রকাশ করুক এবং বেকার যুবকদের আয়-রোজকারের পথ তৈরি করা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, উপজেলার মহলবাড়ী গ্রামে মাল্টা চাষের পাশাপাশি বল সুন্দরী বরই চাষ করছেন দুইবন্ধু মিলে। এটি উপজেলায় একেবারেই নতুন। আমরা সেখানে মাল্টা চারা সরবরাহ করেছি। সেইসাথে কৃষি অফিস থেকে তাদের বাগানে প্রযুক্তিগত সকল সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। বাগান থেকে প্রথম বছরই তারা ৪-৫ লক্ষাধিক টাকার বরই বিক্রয় করতে পারবে এমনটা আশা করা যায়।