ভোলায় বিনামূল্যে ফলজ গাছের চারা পেল অতিদরিদ্ররা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৯ পূর্বাহ্ন, ২৪শে মার্চ ২০২৩


ভোলায় বিনামূল্যে ফলজ গাছের চারা পেল অতিদরিদ্ররা
ফলদ গাছের চারা গাছের চারা বিতরণ করার সময়

পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণে ভোলায় দরিদ্র চার শতাধিক পরিবারকে দুই হাজার ফলদ গাছের চারা দেয়া হয়েছে। 


বসত বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ ফলদ চারা বিতরণ করা হয়। গাছের উৎপাদিত ফল দিয়ে একদিকে যেমন নিজেদের পুষ্টির চাহিদা মিটিবে অন্যদিকে ফল বিক্রি করে আয়ও করতে পারবেন উপকার ভোগিরা ।  প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পরিবেশ রক্ষায় অনন্য এ আয়েজনে খুশি তারা।


এক সময়ে বাড়ির আঙ্গিনায় শোভাপেতো নানা ধরনের দেশীয় পুস্টিকর ফল, কালের বিবর্তনে এখন অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। বাড়ির আঙ্গিনা অনেকটাই শুন্য। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা এক ইঞ্চি জমিও খালি থাকতে পারবেনা। এ ঘোষনাকে বাস্তবায়ন করতে বাড়ির আঙ্গিনায় দেশীয় ফলের চার রোপন ও নির্মল বাতাশ ও পরিবেশ রক্ষায় বিনামূল্যে দেয়া হলো ৪ শতাধীক পরিবারের মধ্যে ২ হাজার বিভিন্ন ফলদ বৃক্ষের চারা। 


পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের প্রসপারিটি প্রকল্পের পুস্টি কম্পোনেন্টের আওতায় গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থা ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের অতিদরীদ্র মানুষের মধ্যে এ চারাগুলো বিতরন করে। মঙ্গলবার দিনব্যাপী ভেলুমিয়া ইউনিয়নের কুঞ্জপট্রি, চন্দ্র প্রসাদ ও চর গাজি এলাকার অসহায় পরিবারগুলোর মধ্যে এ চারা গুরো বিতরন করা হয়। এ তিনটি স্থানে আলাদাভাবে একই সময়ে চারাগুলো বিতরন করা হয়।


চারার মধ্যে রয়েছে আম্রপালি১টি ১টিলেবু ও ২টি পেয়ারা চারা। পুস্টিগুনে ভরপুর এ ফলের চারা একদিকে যেমনি পারিবারিক পুস্টি চাহিদা মেটাবে অন্যদিকে ফল বিক্রি করে পরিবারগুলো বাড়তি আয় করতে পারবে। বাড়বে আঙ্গিনার সৌন্দর্য বাড়িতে বইবে বিশুদ্ধ নির্মল বাতাশ। গাছগুলো একসময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জীবন রক্ষার হাতিয়ার হয়ে উঠবে। দেশীয় ফলের চারা পেয়ে খুশি এলাকার মানুষ।


কুঞ্জপট্রি গ্রামে চারা বিতরনের উদ্ধোধন করেন গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক (কর্মসুচি) হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মোঃ আবু বকর, চন্দ্রপ্রসাদ গ্রামে চারা বিতরনের উদ্ধোধন করেন পুস্টিবিদ বাবুল আকতার, ও চর গাজি গ্রামে চারা বিতরনের উদ্ধোধন করেনলাইভলিহুড কর্মকর্তা সাকিল আহমেদ।


পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সাধারণ হত দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করা, দেশীয় প্রজাতির ফলের ঔতিহ্যকে ধরে রাখা ও পরিবেশ রক্ষায়ই এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য। এছাড়া দুর্যোগের প্রভাব মোকাবেলায় সহায়তা করবে বলে জানান, সংস্থার এই কর্মকর্তা।


গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ও প্রকৃতি ও জীবন ক্লাব, ভোলা এর উপদেষ্টাজাকির হোসেন মহিন, জানান, বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় ফলগুলোকে পুনরায় বাড়ির আঙ্গিনায় ধরে রাখতে এবং অসহায় মানুষের পুস্টি চাহিদা পুরন ও ফল বিক্রি করে বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দেয়ার জন্যই আমাদের এ আয়োজন। এ ক্ষেত্রে প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও গাছগুলো রক্ষা করবে তাদের রক্ষা পাবে পরিবেশও।


আরএক্স/