তালায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ, অতিবৃষ্টিতে লোকসানের শঙ্কা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৩৩ পিএম, ২৭শে আগস্ট ২০২৫


তালায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ, অতিবৃষ্টিতে লোকসানের শঙ্কা
ছবি: প্রতিনিধি

অতিবৃষ্টির কারণে এ বছর সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে লোকসানের মুখে পড়তে পারেন কৃষকরা। তবে গত কয়েক বছর এই চাষে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় চাষিরা। 


মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সকালে তালার তেঁতুলিয়া ও ভায়ড়া গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকের ক্ষেতে মাচায় ঝুলছে শত শত তরমুজ। মধুমালা, ব্ল্যাক বেরি, কানিয়া (বাংলালিঙ্ক) জাতের এসব তরমুজের কোনোটি বাজারজাতের উপযোগী হয়েছে, আবার কোনোটি এখনো পরিপক্ব হয়নি। খেতেও এগুলো সুস্বাদু বলে জানান চাষিরা।


আরও পড়ুনপূর্ব সুন্দরবনে দুই হরিণ শিকারি আটক


তেঁতুলিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মান্না বিশ্বাস জানান, তিনি কয়েক বছর ধরে তরমুজ চাষ করে আসছেন এবং আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। এ বছর তিনি ৮ শতক জমিতে চার জাতের তরমুজ চাষ করেছেন। এতে তার প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সাধারণত তিনি প্রতি মৌসুমে লাভবান হলেও এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে তরমুজ গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তেমন লাভ হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন। তার খেতে প্রতিটি তরমুজের ওজন ২ থেকে ৭ কেজি পর্যন্ত হয়। এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারজাত শুরু হবে এবং প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে মাঠ থেকেই পাইকাররা কিনে নেবেন বলে আশা করছেন তিনি। 


এছাড়াও রফিকুল ইসলাম ১২ শতক জমিতে ও রাসেল ১৩ শতক জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। তাদের মতো আরও অনেকে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে ঝুঁকেছেন। 


চাষি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘ধান ও পাট উঠতে চার মাসের বেশি সময় লাগে। কিন্তু তরমুজ মাত্র ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়। এজন্য তরমুজ চাষ করে আমরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছি।’’


তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষে প্রচুর লাভের সম্ভাবনা থাকায় এটি চাষের জন্য কৃষকদের অনুপ্রেরণা। এ বছর উপজেলায় ৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়েছে। বৃষ্টির কারণে কিছু ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।


এসএ/