কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ২৭শে আগস্ট ২০২৫

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট থাকার কারণে সেবা নিতে আসা রোগীরা সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছে না। ৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত কলারোয়া উপজেলা। এ উপজেলায় প্রায় তিন লাখ মানুষের বসবাস। চিকিৎসার জন্য অসহায় ও গরীব মানুষের একমাত্র ভরসা সরকারি এ হাসপাতাল।
হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের মোট পোস্ট ২১টি। বর্তমানে আছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা একজন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) একজন, মেডিকেল অফিসার ২ জন, ডেন্টাল সার্জন একজন, মোট ৫ জন। এর মধ্যে একজন ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এ আছে। বর্তমান ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে জনবহুল এ উপজেলার হাসপাতাল টির চিকিৎসা সেবা। হিমশিম খেতে হচ্ছে ৪ জন চিকিৎসকের। সময়-অসময় বিরামহীন সেবা দিয়ে যাচ্ছে ৪ জন চিকিৎসক সঙ্গে নার্সদের উপর পড়েছে অতিরিক্ত চাপ।
হাসপাতালে সিজারিয়ানের ব্যবস্থা থাকলেও বিশেষজ্ঞ গাইনি ডাক্তার না থাকায় সাধারণ গরীব গর্ভবতী মায়েদের বেসরকারি ক্লিনিকে সিজার করাতে হচ্ছে, এতে তাদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।
আরও পড়ুন: পূর্ব সুন্দরবনে দুই হরিণ শিকারি আটক
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালটিতে সবসময় সেবা দেয়ার সক্ষমতার বেশী রোগী ভর্তি আছে। এতে তাদের চিকিৎসা দিতে ডাক্তার ও নার্সদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে হাসপাতালে যথাযথ সেবা না পেয়ে অনেক রোগী চলে যান স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে। এর ফলে সাধারণ গরীব মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে । হাসপাতালে ৪ জন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছে ২ জন । ইতোমধ্যে তাদের চাকরির বয়স শেষের দিকে অর্থাৎ ২৫ সালের শেষে শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গেছে।
কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও জনবল সংকট থাকার কারণে এ জনবহুল উপজেলার মানুষ সঠিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে সুশিলসমাজ ও রাজনৈতিক, শিক্ষিত সমাজের ব্যক্তিবর্গরা মনে করেন এবং বলেন এ অবস্থায় চলতে থাকলে কলারোয়ার সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।
এ ব্যাপারে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: নীতিশ চন্দ্র গোলদার বলেন আমিসহ ৪ জন চিকিৎসক দিয়ে সঠিক সেবা দিতে আমাদের খুবই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ডাক্তারের প্রয়োজন, ডাক্তার সংকট সমাধান না হলে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হবে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: জহুরুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি জেলা মিটিং এ আলোচনা করেছি দ্রুত সময়ের সমাধান হবে বলে আশা করি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: আব্দুস সালাম বলেন, সকল উপজেলায় ডাক্তার সংকট আছে, আশা করি আগামী এক মাসের মধ্যে ডাক্তার সংকট কেটে যাবে বলে তিনি জানান।
এসএ/