চুনারুঘাটে মাঠে প্রান্তরে, রাস্তার পাশে ছড়াচ্ছ সৌরভ

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এই ঋতুরাজ বসন্তে মাঠে প্রান্তরে, রাস্তার পাশে সৌরভে সুভাষিত করে তুলছে মনকে। রাতে আধারে ছড়াচ্ছে সুভাষিত সৌরভ। কেউ বলে ভাট ফুল বা ঘেটু ফুল। 

ফুলগুলো সহজেই নজর কেড়ে নেয় তার অন্যতম হলো বনজুঁই। এই ফুল দিনে ফোটে এবং রাতে সৌরভ ছড়ায়। চাষ নয়, কিংবা শখের বশে ও কেউ লাগায় না। এমনিতে অযত্ন আর অবহেলায় জন্মালেও এই ফুল দৃষ্টি কাড়ে সব মানুষের। 

বড়াইল গ্রামের বাসিন্দা স্বপন চন্দ্র শীল বলেন, গাছভর্তি বনজুঁইয়ের সমারোহ দেখে সব বয়সী মানুষেরই মন জুড়িয়ে যায়। ছোট ছোট শিশুরা এ ফুল নিয়ে খেলা করে। আমরাও ছোটবেলায় এ ফুল নিয়ে খেলা করতাম। 

বনজুঁই বা ভাট অবহেলিত ফুল হলেও এর রয়েছে বেশ কিছু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসালয় বিজয় আচার্য্য বলেন, এ ফুল শুধু সৌন্দর্য বিতরণ করে না। এর আছে নানা উপকারিতা। কাউকে পোকামাকড়ে কামড় দিলে ভাট ফুল রস করে ওই স্থানে দিলে দ্রুত উপশমের কাজ করে। অনেকে আবার কৃমি দূর করার জন্য এ ফুলের রস খেয়ে থাকেন। গরু-ছাগলের গায়ে উকুন হলে ভাট গাছের পাতা বেটে দুই-তিন দিন লাগালে উকুন মরে যায়। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহিদুল ইসলাম বলেন, ভাট ফুল / ঘেটু ফুল বা বনজুঁই গুল্মজাতীয় বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। মূলত এটি বুনো ফুল। ঋতুরাজ বসন্তে দেখা যায় এই ফুল। গাছের প্রধান কান্ড সোজাভাবে দন্ডায়মান, সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হয়। পাতা ৪ থেকে ৭ ইঞ্চি লম্বা হয়। দেখতে কিছুটা পান পাতার আকৃতির।

আরএক্স/