শ্রীনগরে সূর্যমূখীর চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:২৫ অপরাহ্ন, ২৮শে মার্চ ২০২৩


শ্রীনগরে সূর্যমূখীর চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে
সূর্যমূখী

শ্রীনগরে সূর্যমূখীর চাষ লাভজনক হওয়ায় মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। সূর্যমূখী ফুলের দানাদার তেলবীজ থেকে ভোজ্যতেল উৎপাদণে উৎসাহিত হচ্ছেন। গত বছরের তুলানায় এ অঞ্চলে এবার সূর্যমূখীর চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন জমিতে সূর্যমূখী ফুলের ভরা মৌসুম। ফুলের জৌলুস ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। 


সবুজের বুকে হলুদ রঙের গোলাকৃতির সূর্যমূখী ফুলের সমারোহ নজর কেড়ে নিচ্ছে। ফুলে ফুলে কালো ভোমরা ও মৌ-মাছির দল মধু আহরণে ছোটাছোটি করছে। নজর কাড়া সূর্যমূখী ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের জন্য পথচারীরা খানিকটা দাড়িয়ে পড়ছেন। উপজেলার আটপাড়া,  বাড়ৈগাঁও, শ্যামসিদ্ধি, বীরতারা, তিনটেক, হাঁসাড়া ও আলমপুর এলাকায় বেশকিছু জমিতে সূর্যমূখীর চাষ করা হচ্ছে।


 লক্ষ্য করা গেছে, হলুদ রংয়ের সূর্যমূখীর অসংখ্য ফুলে জমি ঢাকা পড়েছে। প্রতিটি গাছে একাধিক ফুলের দেখা মিলেছে। সূর্যমূখী ফুলের ভাড়ে কোন কোন গাছের ডগা নুয়ে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সূর্যমূখী ফুল দেখতে শুরু রুপময়  নয়, গুণেও অনন্য। এর তেল স্বাস্থ্যের জন্য অসারণ, পুষ্টিগুণে ভরা। যে কোন তেলবীজ থেকে সূর্যমূখী ফুলের বীজ শ্রেষ্ঠ। বারি-২, বারি-৩ ও প্যাসিফিক হাইসান-৩৩ জাতের সূর্যমূখী চাষে অধিক ফলন ও লাভবান হওয়া যায়। 


বিঘা প্রতি জমিতে ১ কেজি সূর্যমূখীর বীজ লাগে। ৯০ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে সূর্যমূখী ফুল থেকে তেলবীজ সংরক্ষণ করা যায়। বিঘায় কমপক্ষে ৬-৭ মণ সূর্যমূখীর বীজ উৎপাদণ হয়ে থাকে। প্রকার ভেদে প্রতিমণ সূর্যমূখীর তেলবীজের বর্তমান বাজার দর ২৮০০-৩২০০ টাকা। এ পরিমাণ সূর্যমূখীর বীজ থেকে প্রায় ১৮ লিটার তেল উৎপাদণের পাশাপাশি ২০-২২ কেজি খৈইল পাওয়া যায়। 


সূর্যমূখীর শুকনো গাছ জ্বালানি ও খৈল গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে। আটপাড়া এলাকার মো. জুনায়েদ, বীরতারার আমির হোসেন, তিনটেকের রনিসহ অন্যান্য উদ্যোক্তারা জানান, নিজস্ব জমিতে সূর্যমূখীর চাষাবাদ করছেন। জমিতে অসংখ্য ফুল এসেছে। এছাড়া অনেক মূকুল আসতে শুরু করেছে। কিছুদিন পর ফুল থেকে তেলবীজ সংগ্রহ করা হবে। ভোজ্যতেলের চাহিদা পূরণে সূর্যমূখী চাষ অনেকাংশে লাভজনক। সূর্যমূখীর ফুল থেকে তেলবীজ আলাদা করণে এই মূহুর্তে কোন আধুনিক যন্ত্র নেই। এতে তাদের দেশীয় পন্থায় সূর্যমূখীর বীজ সংরক্ষণ করতে হচ্ছে। 


স্থানীয় কৃষি অফিসার শান্তনা রানী জানান, উপজেলায় ৫০ বিঘার অধিক সূর্যমূখী ফুল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে। উচ্চ ফলনশীল সূর্যমূখীর চাষে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উৎসাহ বাড়াতে প্রণোদনার আওতায় সূর্যমূখীর বীজ ও ডিএপি, এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।


আরএক্স/