টঙ্গীতে রনির বাড়িতে শোকের মাতম, দ্রুত লাশ চান স্বজনেরা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, ৩০শে মার্চ ২০২৩


টঙ্গীতে রনির বাড়িতে শোকের মাতম, দ্রুত লাশ চান স্বজনেরা
নিহত রনি

সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে গিয়ে ১৩জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে নিহত ইমাম হোসাইন রনির  বাড়ি গাজীপুরের টঙ্গীতে। রনির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিতের পর তার টঙ্গীর বাসায় চলছে শোকের মাতম। আহাজারি করছেন নিহতের স্ত্রী শিমু আক্তার (২৮)। রনির বাবা আব্দুল লতিফ (৭০) ছেলে হারিয়ে অঝোরে কাঁদছেন। ছোট ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা মনে করে তার বড় বোন হাজেরা খাতুন বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। মা আলিমুন্নেছা ২০২০ সালে মারা যান।

নিহতের ছোট ভাই হোসাইন আহমেদ জসিম জানান, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জে তাদের গ্রামের বাড়ি। টঙ্গীর বড় দেওড়া জামে মসজিদ রোডে বাড়ি করে দীর্ঘদিন যাবত তারা স্বপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন। তিন ভাই, এক বোনের মধ্যে রনি দ্বিতীয়। রনি দেওড়া এলাকায় টেইলার্স ও মুদি দোকানদারি করতেন। ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় ভাগ্য বদলের আশায় পাড়ি জমান সৌদি আরবে। 

তিনি আরও জানান, বিগত ৮বছর যাবত সৌদি আরবে একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। গত দুই মাস আগে ছুটি নিয়ে দেশে আসেন। ছুটি কাটিয়ে গত শনিবার (২৫ মার্চ) সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেন। আগামী পহেলা এপ্রিল তার কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে হাতে বেশ কিছুদিন সময় থাকায় ওমরা হজ পালন করে সবার জন্য দোয়া করার কথা ছিল। সেই আশা আর পূরন হলো না তার। সরকার রনির লাশ ফিরিয়ে আনবে বলে আশা করি। 

রনির ছোট বোন সীমা আক্তার জানান, রনি দুই মাসের ছুটিতে ফেব্রয়ারি মাসের ৫ তারিখে টঙ্গীর বাসায় আসেন ও ৭ তারিখে বিয়ে করেন। রনির প্রথম  স্ত্রী এক সন্তান রেখে তাকে তালাক দিয়ে চলে যান। রনির  প্রথম পক্ষের একমাত্র ছেলে ইসমাইল হোসেন (১১) স্থানীয় এরাবিক ইনস্টিটিউট নামক মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর রনির ছেলে ইসমাইল দাদার সঙ্গেই থাকে। এ অবস্থায় ছুটিতে এবার বাড়ি এসে শিমু আক্তারকে বিয়ে করেন রনি।

রনির মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজন ও আশপাশের লোকজন ওই বাড়িতে ভিড় জমান।