অফিসে আটকে রেখে এনজিও কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, ১লা এপ্রিল ২০২৩


অফিসে আটকে রেখে এনজিও কর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ছবি: জনবাণী

*** থানায় অভিযোগ-সংবাদ প্রকাশে ক্ষিপ্ত অভিযুক্তরা


*** ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হুমকি


ঢাকার ধামরাইয়ে গাক (গ্রাম উন্নয়ন কর্ম) নামক একটি এনজিও অফিসের রাঁধুনিকে আটকে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে অফিসের হিসাব রক্ষক মনির হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 


এদিকে অভিযোগের ভিত্তিতে এবং ভুক্তভোগীর ভাষ্যমতে তথ্য অনুযায়ী সংবাদ প্রকাশ করা হলে ক্ষিপ্ত হয়ে যায় অভিযুক্তরা। এমনকি সাংবাদিকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার হুমকিও দেওয়া হয়।


শুক্রবার (৩১ মার্চ) দুপুরে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান। এর আগে, বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।


অভিযুক্তরা হলেন, কালামপুর গাক এনজিওর হিসাব রক্ষক মনির হোসেন (৩০), ম্যানেজার শামীম (৩৫), এরিয়া ম্যানেজার জিল্লুর রহমান (৩০), গাক এনজিও অফিস ভবনের মালিক আব্দুল বারেক (৪৫) ও মোজাহিদ (৪০)।


সূত্রে জানা যায়, গত চার মাস পূর্বে কালামপুর বাজারে অবস্থিত গাক এনজিওতে ভুক্তভোগী বাবুর্চির (রাঁধুনি) চাকরি নেন। চাকরি নেওয়ার পর থেকে তাকে বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো হিসাব রক্ষক মনির হোসেন, ম্যানেজার শামীম ও জিল্লুর রহমান। তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারী রাত ৮ টার দিকে ম্যানেজার শামীম ও জিল্লুরের সহযোগিতায় ওই অফিসের দোতলায় নিয়ে হিসাবরক্ষক মনির হোসেন তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে গত ২৬ মার্চ আবারও ম্যানেজার শামীম ও জিল্লুর তাকে অফিসের ভিতরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ওই নারী রান্না ঘর থেকে দা হাতে তাদের ধাওয়া দেয়। এঘটনার পর ওই নারীকে এনজিও অফিসের ভিতরে দুই দিন আটক রাখে অভিযুক্তরা। পরে বাড়িওয়ালা আব্দুল বারেক ও মোজাহিদের সহযোগিতা নিয়ে ওই নারীকে হুমকি দিয়ে তার কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। এবং এ বিষয়ে মামলা করলে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিবাদীদের হেফাজত থেকে রাঁধুনি মুক্তি পায়। 


অভিযুক্ত গাক এনজিও কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় তাদের কারও সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে গাক এনজিওতে কর্মরত জাকির হোসেন নামের এক আইনজীবী পরিচয় দিয়ে যোগাযোগ করেন। ধর্ষণের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার হুমকি দেয়।