পর্দা না করার ক্ষতি কী ?


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


পর্দা না করার ক্ষতি কী ?

পর্দা না করার ক্ষতি ও বিপদ সবচেয়ে মারাত্মক। পর্দাহীনতা সরাসরি আল্লাহ ও তার রাসুলের সুস্পষ্ট নাফারমানির শামিল। কেননা পর্দা মহান আল্লাহ ও তার রাসুলের নির্দেশ। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পর্দা না করার মারাত্মক ক্ষতি ও অপকারিতা কথা একাধিক হাদিসে তুলে ধরেছেন। পর্দা না করার এই ক্ষতি ও বিপদগুলো কী?

পর্দা ফরজ ইবাদত। পর্দা না করাই মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিধান অমান্য করার শামিল। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশের বিরোধিতা করবে সে তো নিজেরই ক্ষতি করবে। হাদিসে পাকে এসেছে-

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মতের সবাই জান্নাতে প্রবেশ করবে। তবে সে লোক নয় যে (জান্নাতে যেতে) অস্বীকার করে। সাহাবায়ে কেরাম প্রশ্ন করলেন, কে অস্বীকার করে? তিনি বললেন, যে আমার (সুন্নাতের) আনুগত্য করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে; আর যে আমার নাফারমানী করবে (যেমন- পর্দার ফরজ বিধান লঙ্ঘণ করবে) সেই জান্নাতে যেতে অস্বীকার করবে। (বুখারি

পর্দা শব্দটি ইসলামের বিধিবিধানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইসলাম মানুষের জন্য এমন কিছু ফরজ নিয়মকানুন করে দিয়েছে যা পালনে বেহেশতি সুখ পৃথিবীতেই অনুভূত হয়। আর এর লঙ্ঘনের ফল হয় অশান্তি আর চিরস্থায়ী জাহান্নাম। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন : ‘হে বনি আদম! আমি তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করার ও বেশভূষার জন্য তোমাদের পোশাক পরিচ্ছদের উপকরণ অবতীর্ণ করেছি। (বেশ-ভূষার তুলনায়) আল্লাহভীতির পরিচ্ছদই হচ্ছে সর্বোত্তম পরিচ্ছদ। এটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম নিদর্শন, সম্ভবত মানুষ এটা থেকে উপদেশ গ্রহণ করবে। (সূরা আল আরাফ ২৬)। আল্লাহ আমাদের পর্দা ফরজ করার সাথে সাথে তাকওয়াও অর্জন করতেও বলেছেন, যেটা হলো মনের পর্দা।

পর্দা ফরজ হওয়া সম্পর্কে এত বেশি কুরআন ও হাদিসে উল্লেখিত হয়েছে যে এ নিয়ে নতুন করে কিছু ভাবার অবকাশ নেই। আল্লাহ মুসলিম নারীর সম্মানে এবং দুষ্ট লোকের অশিষ্ট আচরণ থেকে তার মর্যাদা রক্ষায় পর্দা ফরজ করেছেন। 

পর্দা যেমন পুরুষদের রক্ষা করে নারীর ফিতনা থেকে, তেমনি নারীকেও নানা কষ্ট থেকে রক্ষা করে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘আর মুমিন নারীদেরকে বলো, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাজত করবে।

আর যা সাধারণভাবে দৃশ্যমান হয় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর নিকট তাওবা করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (সূরা আন-নূর, আয়াত : ৩১)।

জি আই/