সহায়তার আপ্রাণ চেষ্টা কৃষি অফিসের

মুরাদনগরে ধানের ব্লাস্টরোগে হতাশ কৃষক


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, ৮ই এপ্রিল ২০২৩


মুরাদনগরে ধানের ব্লাস্টরোগে হতাশ কৃষক
নেকবব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত ধান

বিগত বছরগুলোর অভিজ্ঞতায় এবারও জমিতে বোরো ধান চাষ করছিলাম। পর্যাপ্ত সেচ সুবিধা পাওয়ায় ফসলের ফলনও হয়েছে বাম্পার। কিন্তু হঠাৎ লক্ষ্য করি ধানের পাতাগুলো নেকবব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে ঝলসে যাচ্ছে। 


আবার ধানগুলো চিটায় পরিণত হচ্ছে। এক জমি থেকে অপর জমিতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগের প্রকোপ। অবশিষ্ট ধান তুলতে পারা নিয়ে চিন্তায় আছি। অনেক ধান নষ্ট হয়েছে। এভাবেই জনবাণীর নিকট কৃষকদের হতাশার কথা বর্ণনা করছিলেন রগুরানপুরের কৃষক স্বপন সরকার(৪৪)।


কুমিল্লার মুরাদনগরে ধানের বাম্পার ফলনের আশায় ১৭,০৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে বোরো ধান। করিমপুর,যাত্রাপুর,কামাল্লা,মোচাগড়া ও রগুরামপুর বিলে কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ তুলতে হঠাৎ মহামারীর আঁকারে ছড়িয়ে পড়ছে ধানের নেকবব্লাস্ট ও লিফবব্লাস্ট রোগ। ধান পাঁকার আগেই সোনালী হয়ে যাচ্ছে মাইলের পর মাইল জমি। বিআর-২৮,২৯ ও ৫৮ ধানে এই রোগের লক্ষণ অত্যাধিক। এমতাবস্থায় কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সকল সঠিক কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। কৃষকদের নিয়ে মাঠপরিদর্শন, কৃষক সমাবেশ ও উঠান বৈঠকের মাধমে সচেতন করা হচ্ছে ফসলকে রোগের প্রকোপ থেকে রক্ষা করে অধিক ফলনের আশায়।


যাত্রাপুর গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়া জনবাণীকে বলেন, আমি ৪০শতাংশ  জমিতে ব্রিধান ৯৬ করেছি। নেকব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হওয়ায় কৃষি অফিস ব্যাবিজল ৪০গ্রাম ৪ট্যাংক পানি দিয়ে ৪০ শতাংশ জমির ঔষধটি স্প্রে করার পরামর্শ দিয়েছেন। ঔষধ স্প্রে করার পরও কোন প্রতিকার পাইনি। এখন আমার কি হবে? এক মুঠো ধানও পাবো না। 


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পাবেল খান পাপ্পু জনবাণীকে বলেন, সাধারণত ধানের পারিকুলারিয়া ছত্রাকের আক্রমনে ব্লাস্ট রোগ হয়। ধানের ব্লাস্ট রোগ দমনে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে আমাদের অফিস। বোরো মৌসুমে ব্লাস্ট রোগ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ধান উত্তোলন পর্যন্ত আমাদের সচেতনতা ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকবে। হটলাইন নম্বরে ফোন করলে আমরা সার্বক্ষণিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ব্রিধান ২৮,২৯ ও ৫৮ জাতে রোগের আক্রমণ বেশি হয়। পূর্বের জাত পরিবর্তন করে ব্রিধান ৮৮,৮৯ ও ৯২ চাষ করার পরামর্শ দিচ্ছি।


আরএক্স/