ঘোড়াঘাটে খাটো জাতের নারিকেল চাষে সফল আবু সায়াদ চৌধুরী


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:৩৭ অপরাহ্ন, ৯ই এপ্রিল ২০২৩


ঘোড়াঘাটে খাটো জাতের নারিকেল চাষে সফল আবু সায়াদ চৌধুরী
খাটো জাতের নারিকেল

নারিকেল গাছ পৃথিবীর অন্যতম প্রয়োজনীয় ও জীবনের গাছ হিসেবে খ্যাত। এটি মানুষের খাদ্য, জালানী, প্রসাধনী, ভেষজ ঔষধ সরবরাহসহ নানাবিধ কাজে ব্যবহার করা হয়। 


নারিকেলের বিভিন্ন জাত হলেও এর মধ্যে অন্যতম ভিয়েতনামি বা খাটো জাতের নারিকেল গাছ।

 

আর এই ভিয়েতনামি বা খাটো জাতের নারিকেল বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করে ফল ও চারা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে সফলতা পেয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী। তিনি গোপালপুর গ্রামের মৃত সামসুল হুদা চৌধুরীর ছেলে।


জানা গেছে, কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী ২০১৬ সালে উপজেলার বিলপাড়া গ্রামের পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ের জমিতে খাটো জাতের ৫০ টি ভিয়েতনামি চারা লাগান। চারা লাগানোর তিন বছর পর গাছে ফুল আসা শুরু হয়। ফুল আসার ৬-৭ মাস পর ডাব এবং নারিকেল পান তিনি।


এখন বছরে একবার তিনি ডাব ও নারিকেল পাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি দুই একর জমিতে এই নারিকেলের চাষ করছেন। সেখানে ৫০ টা গাছে ফল ধরছে আর বাকিগুলো তিনি চারা তৈরি করে বিক্রি করেন।


আবু সায়াদ চৌধুরী বলেন, ভিয়েতনামি নারকেল গাছের চার প্রতিটি ৮ শত থেকে ১ হাজার টাকার দরে এবং ডাব ও নারিকেল পাইকারি প্রতি পিচ ৭০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।


উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ে ভিয়েতনামি নারিকেল চাষ করে সফল হয়েছেন কাজী আবু সায়াদ চৌধুরী। বর্তমানে তিনি চারা তৈরি করে ও নারিকেল বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে নারিকেল চাষে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।