চুনারুঘাটে জমেছে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০:৫০ অপরাহ্ন, ১০ই এপ্রিল ২০২৩
ঈদ মানে আনন্দ, ঈদ মানে খুশি, নতুন কাপড় পরিধানে ঈদ উদযাপনে পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নতুন নতুন পোশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সকল মুসলমান ধর্মাবলম্বীরা।
এদিকে চুনারুঘাট পৌর বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট, বিপণী বিতান ও শপিংমল গুলোতে আসন্ন ঈদের কেনাকাটা বেশ জমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেট ও বিপণী বিতান গুলোতে শিশু, কিশোর-কিশোরীসহ নারী-পুরুষ ক্রেতাদের আনাগোনা রয়েছে। নানা পেশার লোকজন তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে মার্কেট গুলোতে ভীড় করছেন।
সেই সাথে পাল্লা দিয়ে চলছে দর্জি দোকান গুলোতেও গ্রাহকের রুচি আর পছন্দের পোশাক আর আধুনিকতা সাথে তাল মিলিয়েই নিত্য নতুন পোশাক তৈরিতেই এখন তাদের মনোযোগ। কখনও সালোয়ার কামিজ বা কখনো পাঞ্জাবী তৈরিতে মেশিনে অবিরত চলছে খরখর শব্দে দর্জি কারিগরেরা কর্মব্যস্ত।
ঈদ আনন্দে ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ ছোট বড় সকলে নতুন নতুন জামা কাপড় পরিধান করে থাকে। রানা টেইলার্সের প্রোপাইটর রানা চন্দ্র শীল বলেন, রোজার কয়েকদিন আগে থেকেই গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্ডার পাওয়া শুরু হয়। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক ফ্যাশন ডিজাইনের পোশাক বানানোর কারণে ক্রেতারা এখানে আসেন।
এই ঈদে বাড়তি চাপ থাকে। তবে মজুরী ডিজাইনের প্রকার ভেদে ৩৫০ থেকে ৬’শ নেয়া হচ্ছে ৩২০ টাকা। এদিকে দর্জির দোকানে আসা কয়েকজন অর্ডারী জানান, এবারও মজুরী বেড়েছে। মোঃ মোজাম্মেল হক নামে এক ক্রেতা বলেন, এবার শিশুদের জামা-কাপড়, জুতা, বড়দের শাড়ি, শার্ট, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি ও জুতাসহ সব ধরনের পোশাকের দাম একটু বেশি।
পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছি। গতবার যে পাঞ্জাবি দুই হাজার টাকায় কিনেছি সেই ধরনের পাঞ্জাবি এবার তিন/চার হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। শ্রুতি ফ্যাশনের তপু দাশ বলেন, এবার ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী কাপড় নেয়া হয়েছে। আশা করি পহেলা বৈশাখ ও আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরের বেচাকেনা ভালো হবে।
অনেক বিক্রেতা বলেন, সকাল থেকেই কেনাকাটার জন্য ভীড় করেছেন লোকজন। প্রতি বছর রমজানের মাঝামাঝি সময়ে ঈদের কেনাকাটা শুরু হলেও এবার রোজার শুরুতেই মার্কেট ও ফ্যাশন হাউস গুলোতে ক্রেতাদের ভীড় বাড়ছে। পোশাকের পাশাপাশি ভীড় জমেছে জুতা এবং প্রসাধনীর দোকানেও। এসব দোকানে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। জুতার বিভিন্ন শো-রুমে গিয়ে দেখা যায়, নতুন জুতা দেখছেন সব বয়সী ক্রেতা।
আরএক্স/