উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে নিয়ে ভিত্তিহীন মন্তব্য করায় প্রতিবাদ সমাবেশ
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, ১৪ই এপ্রিল ২০২৩
বাগেরহাটের রামপালে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারকে নিয়ে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করায় রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় রামপাল উপজেলা পরিষদের চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল শেষে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোল্লা আ. রউফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মোতাহার রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা মিলি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) অতিন্দ্র নাথ দুলাল, মুক্তিযোদ্ধা আ. মান্নান, চেয়ারম্যান তপন কুমার গোলদার, চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ ফকির, চেয়ারম্যান সুলতানা পারভীন, জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মনির আহমেদ প্রিন্স, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামু, শেখ মো. বজলুর রহমান, শেখ মোহাম্মদ আলী, গাজী গিয়াস উদ্দিন, গাজী আক্তারুজ্জামান, শেখ নূরুল আমীন, তালুকদার মুজিবর রহমান, জয়দেব কুমার দেবনাথ, অধ্যক্ষ মজনুর রহমান, অধ্যাপক আকবর আলী, হাওলাদার আবু তালেব, কুদরতি এনামুল বাশার বাচ্চু, বিচিত্র বীর্য পাড়ে, জালাল উদ্দীন দুলাল, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ৭ মার্চ শুক্রবার ডিবিসি নিউজ টিভি চ্যানেলে ইলেকশন এক্সপ্রেস নামে বাগেরহাট -৩ আসন নিয়ে একটি লাইভ অনুষ্ঠান হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মো. আবু সাইদ। তিনি এমপি ও বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার কে নিয়ে বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছন। তার এ মন্তব্যে আওয়ামী লীগের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া ও ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ।
তারা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এ এলাকায় ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করেছে। বিশেষ করে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এ এলাকার মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ব্যাপক উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। যা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন।
সাবেক ওই উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সাইদের সমালোচনা করে বলেন, তিনি আবুল কালাম ডিগ্রি কলেজের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, টিউবওয়েল দেয়া কথা বলে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, সরকার জায়গা দখল করা, চিংড়ি ঘেরের জমির হারির টাকা না দেয়া, মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট, কলেজ অধ্যক্ষকে মারপিট করে আহত এবং মেয়র, মন্ত্রীর সমালোচনা করা হয়েছে। তার দলীয় পদ স্থগিতসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে অপসারণের দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদ সমাবেশে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, ১০ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।