খালাস চেয়ে ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতের আপিল
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
সেনাবাহিনীর
অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি প্রদীপ
কুমার দাশ ও লিয়াকত আলী খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছেন।
মঙ্গলবার
(১৫ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন তার আইনজীবী রানা দাশ গুপ্ত।
তিনি জানান, সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) খালাস চেয়ে আপিল করেছেন। আপিল শুনানিতে প্রদীপের পক্ষে থাকবেন দুইজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। লিয়াকতের পক্ষে থাকবেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
এর
আগে, ৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক
লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) মামলার সব ধরনের কার্যক্রম
হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছিল। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ
হলে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য মামলার সব ধরনের কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়।
এছাড়া আসামিরা আইনানুয়ায়ী উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন।
গত
৩১ জানুয়ারি বিকেলে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত দুইজনের মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন
ও সাতজনকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
আসামিরা হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক বরখাস্ত লিয়াকত আলী
ও টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা
হলেন- বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত উপ-পরিদর্শক (এসআই) নন্দ দুলাল রক্ষিত,
সাগর দেব, রুবেল শর্মা, টেকনাফ থানায় পুলিশের করা মামলার সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়া
ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।
২০২০
সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে
নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ৫ ফেব্রুয়ারি
দুপুরে কক্সবাজার কারাগার থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ কুমার দাশ ও মো. লিয়াকত আলীকে
বিশেষ ব্যবস্থায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাদের কাশিমপুর
কেন্দ্রীয় কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে।
ওআ/