সদরঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, ২১শে এপ্রিল ২০২৩


সদরঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের ঢল
ছবি: সংগৃহীত

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী শনিবার বা রবিবার উদযাপিত হবে মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে নানা বিড়ম্বনা সয়েও ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে। কোথাও তিল ধারণের জায়গা নেই। টার্মিনাল, পন্টুন লঞ্চের কেবিন, ডেক ও ছাদ কানায় কানায় পূর্ণ।  


এদিকে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও যাত্রীরা লঞ্চের ছাদে চড়েও বাড়ি যাচ্ছেন। ছেড়ে যাওয়া প্রায় প্রতিটি লঞ্চের ছাদে চড়ে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। শুধু কোনো রকমের পা রাখার জায়গা পেলেই লঞ্চে চড়েছেন যাত্রীরা।


বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সদরঘাট ও এর আশেপাশের এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। 


গার্মেন্টস ছুটি হওয়াতে এদিন অন্যদিনের তুলনায় ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় বেশি। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নগরবাসীদের আসতে দেখা যায়। সকাল থেকেই সদরঘাটে ঘরেফেরা মানুষ আসতে থাকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে যাত্রীদের চাপ। 


লঞ্চের যাত্রীদের হয়রানি রোধে নৌ-পুলিশের একাধিক দল নদীতে ও টার্মিনালে দায়িত্ব পালন করছে। টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টর্গাড, আনসার সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।


এমভি ফারহান লঞ্চের ম্যানেজার মো. সালাম বলেন, আজকে বিকাল থেকে ভিড় বেশি। প্রতিটি লঞ্চ ফুল লোড হয়ে যাচ্ছে। আমরা না করলেও যাত্রীরা ঠেলে উঠে যাচ্ছে।


এমভি রাজহংস-১০ লঞ্চের সুপারভাইজার জানান, তাদের লঞ্চের কেবিন ও সিট অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও লঞ্চে যাত্রীদের জায়গা হচ্ছে না। তবে ডেকের যাত্রীদের নগদে টিকিট দেওয়া হলেও অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ায় অনেকেই টিকিট ছাড়াই লঞ্চে উঠে পড়েছেন।


বিআইডব্লিটিএর ট্রাফিক সাব ইন্সপেক্টর রকিব মো. বলেন, সদরঘাট টার্মিনাল থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে বিকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২টি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। এতে প্রায় এক লাখের মতো যাত্রী ছিলো। আরও ৪০টির মতো লঞ্চ অপেক্ষমান। এগুলো রাত ১২টার মধ্যে ছেড়ে যাবে।