উখিয়ায় আরসার ৪ সদস্য আটক, গুলি উদ্ধার
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:২৬ পূর্বাহ্ন, ২৯শে এপ্রিল ২০২৩
কক্সবাজারে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলির পর সশস্ত্র গোষ্টি আরসার চার সদস্যকে আটক করেছে এপিবিএন। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে ওয়াকিটকি ও গুলির ম্যাগজিনসহ বেশ কিছু গুলি।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (এডিআইজি) ছৈয়দ হারুন অর রশীদ।
আটককৃতরা হলেন- উখিয়া উপজেলার লম্বাশিয়া ২-ইস্ট নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বি-ডব্লিউ সাব-ব্লকের বাসিন্দ মৃত মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে মো. জোবায়ের (২০), কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের ডি-৮ সাব-ব্লকের বাসিন্দা মৃত কামাল হোসেনের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৫) ও একই ক্যাম্পের বাসিন্দা জোবায়ের আহম্মেদের স্ত্রী মোসা বিবি (১৬) এবং কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্র শিবিরের ডি-৮ ব্লকের বাসিন্দা মৃত ছালেহ আহম্মেদের স্ত্রী জমিলা বেগম (৪৮)।
এডিআইজি ছৈয়দ হারুন অর রশীদ বলেন, রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৭ নম্বর রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জি-ব্লকে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্টি আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী ছমিউদ্দিনসহ ১০/১৫ জন দুর্বৃত্ত অপরাধ সংগঠনের জন্য অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন এর একটি দল অভিযান চালায়। এতে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুষ্কৃতিকারিরা উপস্থিতি টের পেয়ে এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছুড়লে দুষ্কৃতিকারিরা পালিয়ে যায়।
পরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কুতুপালং ৫ নম্বর ও কুতুপালং ৬ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ঘটনায় জড়িতদের আটকে এপিবিএন সদস্যরা অভিযান চালায়।
এক পর্যায়ে শুক্রবার সকালে কুতুপালং ৫ নম্বর ক্যাম্পের সি-ব্লকে জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরে আরসা সন্ত্রাসী ছমিউদ্দিনসহ তার সহযোগীরা অবস্থানের খবর পায় এপিবিএন সদস্যরা। এতে উপস্থিতি টের পেয়ে ছমিউদ্দিন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ঘরটিতে অবস্থানকারি ২ নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে মো. জোবায়েরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ সময় ঘরটিতে তল্লাশী করে পাওয়া যায় দেশীয় তৈরি ৪ টি বন্দুক, রাইফেলের ৩০ টি গুলি, পিস্তলের ২৭ টি গুলি, শর্টগানের ৫ টি কার্তুজ, ৩ টি খালি ম্যাগজিন, ৪ টি ওয়াকিটকি, ১ টি বড় চাকু ও ৫ টি মোবাইল ফোন সেট।
এডিআইজি জানান, আটকরা মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্টি আরসার সদস্য। তারা রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে অপরাধ সংঘটনের উদ্দ্যেশে জড়ো হয়েছিল।
আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান ছৈয়দ হারুন অর রশীদ।