পাহাড়ে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি উৎসবে সকলের আনন্দ ভাগাভাগি
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, ২৯শে এপ্রিল ২০২৩
পাহাড়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নববর্ষ উৎসবের আলাদা আলাদা নাম থাকলেও সকলে আনন্দটা ভাগাভাগি করতে ভুলে না। তবে ভিন্ন ভিন্ন জাতীগোষ্টিরা নিজস্ব নিয়মে মাধ্যমে বর্ষবরণ করে থাকেন। চাকমাদের ক্ষেত্রে তাদের বাংলা বর্ষপঞ্জীর শেষ দিন থেকে ৩দিন এটি পালন করে থাকেন।
পাহাড়ে প্রত্যেক বছর এ সকল উৎসবে প্রাণে প্রাণে তৈরি হয় উচ্ছ্বাসের বন্যা। সম্মিলন ঘটে পাহাড়ে বসবাসকারী সকল জাতিগোষ্ঠীর মানুষের। এটি চাকমা,মারমা, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীগুলোর তিন দিনব্যাপী প্রধান সামাজিক উৎসব থাকলেও মাসব্যাপী এই উৎসব পালন করতে দেখা যায় মূলত এ উৎসব এপ্রিলের মাসব্যাপী পালিত হয়।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাঙ্গামাটি নানিয়ারচর উপজেলার ১৭ মাইল দোসরপাড়া এলাকার মাঠে এলাকাবাসীর আয়োজনে সকল জাতি গোষ্ঠীদের ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি অনুষ্ঠান খেলাধুলা, পুরস্কার বিতরণ, নৃত্য পরিবেশন ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
এ সময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ইলিপন চাকমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার মুক্তার এবং ২নং নানিয়ারচর সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাপ্পী চাকমা।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মামুন ভূইঁয়া, তাপস কুমার চাকমা, জ্যাতিলাল চাকমা, হাফিজুর রহমান, কবির হোসেন ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী এবং পাহাড়ি বাঙালি ও পাড়াবাসীরা।
এ সময় জেলা পরিষদ সদস্য ইলিপন চাকমা বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে পাহাড়েও থেমে নেই এই অঞ্চলের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ সবসময় পাহাড়ে উন্নয়ন শিক্ষা সাংস্কৃতিকে কমতি রাখে না সবসময় সাপোর্ট দিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, খেলাধুলা ও এসকল বৈসাবি ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান যুবকদের মনকে ভালো রাখে,সমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়। আমাদের জেলা পরিষদ সব সময় আপনাদের পাশে আছে।
এ সময় ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি অনুষ্ঠানে তুম্রু যাদু খেলা, ঐতিহ্যবাহী বলি খেলা, পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে আলাদা আলাদা ইভেন্টে দড়ি টানা খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।