পাহাড়ে পরিবেশ রক্ষায় গাছের ভূমিকা অপরিসীম
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২:২৭ পূর্বাহ্ন, ৩০শে এপ্রিল ২০২৩
পাহাড়ে সবুজ শ্যামল প্রকৃতির রূপ মাধুর্য আজকাল বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ের সবুজ বৃক্ষ-লতা-পাতা রকমারী বৃক্ষরাজির সমারোহ হারিয়ে যাওয়ার পথে। মানুষের আগ্রাসী হাতের ছোবলে বন-বনানী ধ্বংস হওয়ার পথে। সেই সঙ্গে ধ্বংস হচ্ছে দেশীয় বৃক্ষ সম্পদ।
পাহাড়ের অমিত সম্ভাবনার প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য রয়েছে। প্রকৃতিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য প্রজাতির বনজ, ভেষজ, ফলদ, ঔষধিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় অসংখ্য গাছপালা। এগুলোতে ওষুধি গুণাগুণ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ও পুষ্টিগুণ। অথচ এগুলো ধ্বংস করা হচ্ছে। এতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। তাছাড়া, সাম্প্রতিককালে ভেষজ চিকিৎসার প্রতি মানুষের ঝোঁক বাড়লেও পাহাড়ে বৃক্ষ সম্পদ ধ্বংস হওয়ায় সেই প্রবণতায়ও ভাটা পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
পাহাড়ে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয় নাম নাজানা অসংখ্য বৃক্ষলতা-পাতা। এগুলো পার্বত্য অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে জন্ম নিচ্ছে, বেড়ে উঠছে বছরের পর বছর ধরে। এইসব ছোটবড় বৃক্ষরাজির মধ্যে রয়েছে ঔষধি গুণ। সত্যি বলতে কি, এই গাছ গাছড়াই হচ্ছে মানবদেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য আবিষ্কৃত ওষুধের আদি উৎস। এছাড়া এই বৃক্ষ সম্পদ বনজ প্রাণী পশু পাখীর আশ্রয়স্থল, বৃক্ষ সম্পদ ধ্বংস হওয়ার ফলে প্রাণী আর রকমারী পাখীর সংখ্যাও কমে যাচ্ছে।যার ফলে আবহওয়ার তারতম্য ঘটছে,অতিবৃষ্টি,অনাবৃষ্টি,পাহাড় ধ্বস,বাড়তি তাপমাত্রা যার অন্যতম কারন।
অবজ্ঞা আর অবহেলায় পাহাড়ের বিভিন্ন প্রজাতির গাছগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। আসবাবপত্র তৈরীতেও পাহাড়ে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ আমরা বর্তমান সময়ে কে কয়টি গাছ লাগাচ্ছি।
তাই পাহাড়ে গাছের দিকে নিজেদের নজর দেওয়া জরুরী। এগুলোর দিকে আমরা যদি একটু মনযোগী হই আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষা এবং পুষ্টি নিশ্চিত হবে।
আরএক্স/