পঞ্চগড়ে সরকারী অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ভেঙ্গে দিলেন প্রশাসন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৫৪ পূর্বাহ্ন, ৩০শে এপ্রিল ২০২৩


পঞ্চগড়ে সরকারী অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ভেঙ্গে দিলেন প্রশাসন
অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ভেঙ্গে দিচ্ছে প্রশাসন

পঞ্চগড়ে সরকারী  অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ভেঙ্গে দিলেন প্রশাসন পঞ্চগড়ে সরকারী জমি দখল করার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়েছে। 


সদর উপজেলার টুনিরহাট বাজারে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) দিনব্যাপি ওই অভিযানে ভ্রাম্যমান আদালত জমি উক্ত জমি উদ্ধার করে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সরকারী জমি দখল করায় অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে দখলদার দুলাল কে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় এক হাজার টাকা জরিমানা সহ মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।


পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদুল হক জানান শুক্রবার আমি উপজেলার বাজারগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। 


অভিযানের অংশ হিসেবে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে সদর উপজেলার টুনিহাট বাজারে গিয়েছিলাম। এ সময় বাজারের শেষ প্রান্তে দেখতে পাই ড্রেনের মুখ বন্ধ করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলছেন জনৈক দুলাল নামের এক ব্যাক্তি। 


একদিকে ড্রেনের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়েছে অপর দিকে সরকারী তিন শতক খাস জমি দখল করা হয়েছে। তাৎক্ষনিক সেখানে কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে জমির অবস্থান বুঝে নিয়ে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে পাকা ঘর ভেঙ্গে ফেলা হয় একারনে সরকারি ৩ শতক খাস জমি উদ্ধার সহ ড্রেনের বন্ধ মুখ খুলে দিয়ে পানি নিস্কাশন চলমান হয়। 


বেলা ১১ টার দিকে অভিযান শুরু করে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে শেষ করা হয়। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান পঞ্চগড় সদর উপজেলায় অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।


পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদুল হকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনার সময় কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মির্জা জাহাঙ্গির আলম, টুনিহাট বাজারের ইজারাদার মোতাহার হোসেন, পঞ্চগড় সদর থানার উপ পরিদর্শক ফিরোজ কবীর সহ পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিল। 


এতে করে প্রায় কুড়ি লাখ টাকার খাস জমি উদ্ধার হয়েছে।অবৈধ দখলদার দুলাল জানায় ড্রেন সংলগ্ন আমার জমি আছে। আমি ভুল করে ড্রেনের জমিতে ঘর নির্মান করেছি। তবে ঘর নির্মানের সময় আমাকে  কেউ বাধা দেয়নি।


আরএক্স/