কলাবাগানে ছাত্রী ধর্ষণের পর হত্যা : দিহানের বিচার শুরু
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
রাজধানীর
কলাবাগানে ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের করা
মামলায় ইফতেখার ফারদিন দিহানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার
আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হলো।
বুধবার
(১৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক এ এম জুলফিকার
হায়াত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে আগামী ১৬ মার্চ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের
জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
২০২১
সালের ৭ জানুয়ারি দুপুরে ওই ছাত্রীকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় ওইদিন
রাতেই ফারদিন ইফতেখার দিহানকে আসামি করে কলাবাগান থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর
বাবা।
মামলার
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী
শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হন। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক
কাজে বের হন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার
পেপারস আনার কথা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে যান।
আসামি
দিহান আনুমানিক দুপুর ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তাদের
বাসায় গিয়েছিল। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে
নেওয়া হয়।
অফিস
থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা হাসপাতালে পৌঁছান।
হাসপাতালে গেলে তিনি জানতে পারেন, আসামি দিহান তার কলাবাগানে ডলফিন গলির বাসায় ডেকে
নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে অচেতন হয়ে পড়লে আসামি নিজেই ভুক্তভোগীকে
হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ছাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ
মামলায় গত বছরের ৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে দায় স্বীকার করে
স্বেচ্ছা জবানবন্দি দেন আসামি দিহান। একই বছরের ৮ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)
পুলিশ পরিদর্শক খালেদ সাইফুল্লাহ। চার্জশিটে মোট সাক্ষী করা হয় ৫৫ জনকে।
সাক্ষ্যপ্রমাণে
আসামি দিহানের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২) ধারায় অভিযোগ
প্রমাণিত হয়েছে। ফলে আসামির বিরুদ্ধে ওই আইনের একই ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করা হয় চার্জশিটে।
ওআ/