কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় চিনাবাদাম ফলনে বিপর্যয়ের শঙ্কা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১:৫২ অপরাহ্ন, ৫ই মে ২০২৩
তীব্র খরা ও কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে পাবনার বেড়া উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে এ বছর চিনাবাদাম চাষিরা আশার প্রতিফলন না দেখার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। চরাঞ্চলের একমাত্র অর্থকারী ফসল চিনাবাদাম।
প্রতি বছর চর নাকালিয়া, চর সাঁড়াশিয়া, চর নাগদাহ, ঘিউর, আঁড়ালিয়া, চর পাইখন্দ, ও চর সাফুল্লা মৌজাসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলের হাজার হাজার বিঘা জমিতে কৃষকরা চিনাবাদাম চাষ করে অর্থনৈতিক ভাবে সাবলম্বী হয়ে থাকন।
কিন্তু এ বছর প্রচন্ড তাপদাহে এবং সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে এ উপজেলার চরাঞ্চলের চিনাবাদাম ও তৈল জাতীয় ফসল তিলের ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় ভবিষ্যৎ চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।
চর সাফুল্লা গ্রামের কৃষক গজনবী বলেন, ১৮ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করছি তা বিক্রি করে সারা বছর ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার খরচসহ সাংসারিক যাবতীয় খরচের চাহিদা মিটিয়ে থাকি। কিন্তু এ বছর তীব্র খরায় বাদাম গাছগুলো মরে যাচ্ছে। যার ফলে বাদামের ফলন কম কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চর সাঁড়াশিয়া গ্রামের কৃষক আ.সাত্তার বেপারি বলেন, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করছি। গতবার সময়মতো বৃষ্টি হওয়ায় ফলনও ভালো হয়ছিল বিঘা প্রতি ৯ মণ করে বাদাম পেয়েছিলাম, কিন্তু এ বছর খরার কারণে বিঘা প্রতি ৫-৬ মণ হবে কি না সন্দেহ রয়েছে।
ভুক্তভোগী আরও কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর একটানা দীর্ঘদিন তীব্র তাপদাহর কারণে অধিকাংশ বাদাম গাছ ও তিলগাছ রোদে পুড়ে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। যার ফলে ফলন বাড়ার সম্ভাবনা নেই, যদিও গাছ উজ্জীবিত হয় তবে ফলন কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে বেড়া উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কর্মকর্তা আ.বারী বলেন, খরার কারণে চিনাবাদাম গাছ বড় ও পুষ্ট না হয়ে ফলন বিপর্যয়ের ধাবিত হয়ছিল। কিন্তু কয়েক দফা বৃষ্টিপাত হওয়ায় চিনাবাদাম ও তিল গাছগুলো পুনরায় উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে আশা করছি ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।