পঞ্চগড়ে বেগুনের বাম্পার ফলন দাম পাচ্ছেনা কৃষক


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, ৬ই মে ২০২৩


পঞ্চগড়ে বেগুনের বাম্পার ফলন দাম পাচ্ছেনা কৃষক
বেগুন

দেশের উত্তরের সম্ভবনাময় জেলা পঞ্চগড়ে বেগুনের বাম্পার ফলন হলেও দাম না পেয়ে হতাশ কৃষক। বাজারে খুচরা মূল্য বেশি থাকলেও কৃষকরা দাম পাচ্ছেনা। কৃষকরা বলছেন এবারে বেগুন চাষের খরচ উঠছেনা। বাজারে মানভেদে বেগুন প্রতিকেজি ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা বিক্রি হলেও কৃষক তাদের ন্যয্যমূল্য থেকে বঞ্চিত।


পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকা হতে প্রতিদিন ট্রাকে করে শত শত মন বেগুন যাচ্ছে ঢাকাও গাইবান্ধা সহ দেশের নানা প্রান্তে। জেলার বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরি এলাকার চিড়াকুটি ,চৌরঙ্গী ,চুচুলী, বেংহাড়ি, সোনাচান্দি , আটোয়ারী উপজেলার লক্ষীপুর, ধাই ধাইপাড়া, সৌলুয়া, পুরাতন আটোয়ারী ,মালগোবা, সর্দারপাড়া, বারঘাটি, পানি পানিশাইল ধামোর,পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা, বড়বাড়ি ,পাহাড়তলীসহ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে চাষ হয়েছে।


পঞ্চগড় বাজার ঘুরে দেখা যায় , সব কাঁচা সবজির মধ্যে বেগুনের দাম একটু কম থাকলেও অন্য সকল সবজির দাম বেশি। তবে আটোয়ারী উপজেলার ঝলঝলি, সৌলুয়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে দেশের নানা প্রান্তের ব্যবসায়িরা এসে শসা , লাউ ,কাঁচা মরিচের পাশাপাশি ক্ষেতের বেগুন পাইকারি দরে কিনে বস্তায় ভরে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে।


পঞ্চগড় জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে গতবারের চেয়ে এবারে বেগুনের আবাদ বেশি হয়েছে। এবার ৮১২ হেক্টর জমিতে বেগেুনের আবাদ হয়েছে। গতবার আবাদ হয়েছে ৭১৭ হেক্টর জমি।


আটোয়ারী উপজেলার সৌলুয়া পাড়া এলাকার বেগুন চাষী হকিকুল ইসলাম জানান‘ তিনি প্রতিবছর অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বেগুন আবাদ করেন। 


তিনি বলেন, প্রতিমন বেগুন কখনো ৬০০ টাকা থেকে ৫২০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। কখনো আবার ৩০০ টাকা মনও দিয়েছেন ব্যবসায়িদের। তিনি আরো বলেন, কি করবেন মানুষের কাজ না করে নিজের জমিতে আবাদ করি। গতবার ১৫০০ টাকা পর্যন্ত বেগুন বিক্রি করেছি। আর এক মাস পর্যন্ত বেগুন ক্ষেতে থাকবে।


এদিকে ঢাকার ব্যবসায়ি ইসমাইল হোসেন বলেন‘ তিনি প্রায় প্রতি বছর পঞ্চগড়ে বেগুন কিনতে আসে। তার বেগুন বিক্রি হয় রাজধানীর মাওনায়। কথা হয় গোবিন্দ্রগঞ্জ উপজেলার ব্যবসায়ি বাদশা মিয়ার সাথে তিনি বলেন ‘আমি পনের দিন ধরে পঞ্চগড়ে আছি‘ প্রতিদিন যত মন পাই তাই কিনি। আটোয়ারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তারা বেগুন কিনতে এসেছেন।বুধবার দুপুরে তাদের সাথে কথা হয় উপজেলার পাটশিরি এলাকায়। এদিন প্রতিমন বেগুন ৫২০বিক্রি মন দরে বিক্রি করছেন বলে জানান বেগুন চাষী হকিকুল।


জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রিয়াজ উদ্দীন বলেন, ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটের কারণে বেগুন কম দামে বিক্রি হচ্ছে। মধ্যস্বত্ব ভোগিরা লাভবান হচ্ছে। তবে সামনে দাম বাড়তে পারে বেগুনের।


আরএক্স/