দামুড়হুদা ধানের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০:২২ অপরাহ্ন, ৭ই মে ২০২৩


দামুড়হুদা ধানের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের
ধান মাড়াই করছে কৃষক

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও বাজর দর ভালো না পাওয়ায় হাসি নেই কৃষকের মুখে। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লাভের মুখ দেখছেন না তারা। ন্যায্য দাম পেলে হাসি থাকতো কৃষকের মুখে। চলতি বোরো মৌসুমে নতুন ধান বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে হাজার টাকা। বাম্পার ফলন হলে ও কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে।


উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবার ৯ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়। ৭ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হলেও বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতোমধ্যে এলাকায় ৬০ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে। 


দামুড়হুদা উপজেলা সদরের ইসমাইল হোসেন বলেন,তার হাউলির মাঠে সাড়ে ৩বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছিল। গভির নলকুপ ও স্যালো মেশিনের আওতায় একধান ৪,৫ হাজার টাকা সেচ খরচ হয়ে থাকে। তবে নদী থেকে সেচ পাম্পের(ওয়াটার পাম্পে) খরচ হয় বিঘা প্রতি ১হাজার দুই শত টাকা। তিনি ২নং হাউলি সেচ পাম্পের(ওয়াটার পাম্পে) সাড়ে ৩বিঘা জমিতে সেচ, বীজ, হাল-চাষ, কীটনাশক, শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি ১৮/১৯হাজার টাকা।সাড়ে ৩বিঘা জমিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। ধান হয়েছে ৭০ মন।  এতে তার সকল খরচ বাদে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা লাভ হবে। 


কিন্তু গভীর নলকুপ ও স্যালো মেসিনে সেচ খরচ অনেক বেশি হওয়ায় বাম্পার ফলন হলে ও লাভের দেখা মিলছে না। সরকার যদি বেশী দামে ধান ক্রয় করে তাহলে চাষিরা কিছুটা হলে ও লাভের মুখ দেখবে।

 

উপজেলার দেউলি গ্রামের কৃষক আব্দুস ছামাদ বলেন, তিনি দেউলির মাঠে ১২কাঠা জমিতে নিজের স্যালো মেশিনে ১২কাঠা জমিতে ধান চাষ করেছেন হয সব কিছুর দাম বেশি ৩শ’টাকার শ্রমিক ৬শ’ টাকায় কিনতে হচ্ছে। 


এছাড়া সেচ খরচ,সার,বালাই নাশক শ্রমিক সহ সকল খরচ দিয়ে  হয়েছে ১৫হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কাঠাপ্রতি একমণ ধান হলে ও লাভ হবে না। এতে তার আড়াই হাজার থেকে ৩হাজার টাকা লোকসান হবে। 


কার্পাসডাঙ্গার উসমানপুর গ্রামের কৃষক আসাদুল হক, আবজেল হোসেন, আবুল কাশেম প্রতিবেদককে বলেন ধানের ফলন ভাল হয়েছে কিন্তু সমস্ত জিনিষের দাম বৃদ্ধি ও উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় লোকসান গুনতে হবে। 


দামুড়হুদা উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন কর্মকর্তা অভিজিত কুমার বিশ্বাস বলেন,উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তারপরেও এই চাষ মৌসুমে বৃষ্টি না হওয়া ও প্রচন্ড খরার কারনে সেচ খরচ অনেক বেশী ও ধান কাটা শ্রমিক সংকট হওয়ায় শ্রমিকের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারনে চাষীরা খুব একটা লাভবান হচ্ছে না। 


আরএক্স/