কমলগঞ্জে খরায় পুড়ছে ক্ষেত খামার


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:৪৬ অপরাহ্ন, ১২ই মে ২০২৩


কমলগঞ্জে খরায় পুড়ছে ক্ষেত খামার
ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না থাকায় প্রচণ্ড দাবদাহে পুড়ছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত। খরায় ফসলের উৎপাদন কমার আশঙ্কা করছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।


সরেজিমনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার শমশেরনগর, পতনঊষার, মুন্সীবাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদের রবি ফসলি ক্ষেত খামার শুকিয়ে যাচ্ছে। 


এ সময় কৃষকরা জানান, রমজান মাসের প্রথম দিকে কিছুটা বৃষ্টিপাত হলেও পরে কমলগঞ্জে আর কোনো বৃষ্টি হয়নি। খাল বিল, নদীনালা, পুকুর ও জলাশয়গুলোও শুকিয়ে চৌচির। ভূগর্ভ থেকে কৃষকরা কোনোমতে কিছু কিছু জমিতে সেচ দিলেও কিছুক্ষণ পরই তা আবারও শুকিয়ে যাচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে রবি ফসলিসহ নানা জাতের শাকসবজি। একফোঁটা বৃষ্টির জন্য উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের।


শিক্ষক জমশেদ আলী, পরিবেশকর্মী আহাদ মিয়া, সমাজকর্মী ও ইউপি সদস্য তোয়াবুর রহমান তবারকসহ অনেকে জানান, তবে গত কয়েক বছর ধরে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সংরক্ষিত বনাঞ্চল, সামাজিক বনাঞ্চল ও গ্রামগঞ্জে বসতবাড়িতেও গাছগাছালি কেটে নিশ্চিহ্ন করে ফেলছে। এর ফলে ঋতু বদলের মধ্য দিয়ে প্রকৃতিও রূপ বদলাতে শুরু করেছে। এতে উপজেলায় আবহাওয়ার ব্যাপক তারতম্য দেখা দিয়েছে। প্রচণ্ড দাবদাহে দিনে গরম আবার রাতে ঠান্ডা আবহাওয়া অনুভূত হচ্ছে।


পতনঊষারের কৃষক আক্তার মিয়া, আলমগীর হোসেন, ইউনুস মিয়া, ফারুক মিয়া বলেন, এই এলাকার বোরো ফসলি মাঠে ব্লাস্ট রোগে আক্রমণ করে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। তাছাড়া খরায় মাটি পুড়ে যাচ্ছে। ভূগর্ভ থেকে সেচ দিয়েও রবি ফসলি ক্ষেত খামার রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। 


কমলগঞ্জ উপজেলার মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রদ্যুৎ পাল জানান, সবজির জন্য প্রচুর পরিমাণে পানির প্রয়োজন। আবহাওয়াগত কারণে প্রচণ্ড খরায় যেসব এলাকায় সেচের অসুবিধা, সেসব এলাকায় সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হওয়ার পথে। তাছাড়া যারা আউশের বীজতলা তৈরি করেছেন, তাদের অনেকের বীজতলাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।