নদীতে দেখা মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশের
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:১৬ অপরাহ্ন, ১৮ই মে ২০২৩
পর্যাপ্ত মাছের আশায় দিনরাত নৌকা, জাল মেরামত করে নদীতে ছুটছেন জেলেরা কিন্তু দেখা মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশের। তবে যা পাচ্ছেন তা নিয়ে পুরোপুরি না হলেও মোটামুটি সন্তুষ্ট জেলেরা। ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ার পর দু’দিন পেরিয়ে গেছে। এখন উপকূলের আবহাওয়া স্বাভাবিক।
আর এতে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছেন জেলেরা। তারা জাল-নৌকা নিয়ে ছুটছেন মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে। তবে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ না পেলেও যে পরিমাণ পাচ্ছেন তা নিয়ে কোন রকম সন্তুষ্ট তারা।
মৎস্য বিভাগ বলছে, বৃষ্টি বাড়লে ইলিশ ঝাকে ঝাকে ধরা পড়বে বলে আশা করছেন তারা।
মোখার প্রভাবে উত্তাল মেঘনায় জীবনের ঝুঁকি থাকায় তিনদিন মাছ ধরতে যাননি ভোলার উপকূলের জেলেরা। কিন্তু এখন সে অবস্থা নেই, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসায় নদীতে জাল-নৌকা নিয়ে নেমে পড়েছেন তারা। তাদের ধরা ইলিশসহ অন্যান্য মাছ ঘাটে বিক্রি হচ্ছে। যে পরিমাণ ইলিশ পাচ্ছেন তা নিয়ে সন্তুষ্ট জেলেরা।
জেলে সিরাজ ও নুরুউদ্দিন মাঝি বলেন, মোখার সময় নদী উত্তাল থাকায় মাছ ধরা থেকে বিরত ছিলাম। দু’দিন থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় নদীতে ইলিশ ধরতে নেমে পড়েছি। তবে মাছের পরিমান কিছুটা কম।
এদিকে, জেলেদের জালের বেশি মাছ ধরা পড়লে সংকট দূর হবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা।
ইলিশা মৎস্য ঘাটের মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জেলেরা নদীতে যাওয়া শুরু করেছেন। টুকটাক মাছও পাচ্ছেন। ইলিশসহ অন্য মাছও ধরা পড়ছে তাদের জালে। এভাবে চলতে থাকলে জেলেরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।
এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর থেকে ইলিশ নদীতে চলে আসায় জেলেরা মাছ পাচ্ছেন। এছাড়া বৃষ্টিপাত বাড়লে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়া যাবে। আর এবছর ইলিশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন।
জেবি/ আরএইচ/