৯ গ্রামের কৃষকদের দাবি একটি সুইচ গেট, বিপাকে পাট চাষীরা
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:১২ অপরাহ্ন, ২১শে মে ২০২৩
মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে বর্ষা মৌসুমের আগে চার দিকে যতদুর নজর যায় সোনালী আঁশ খ্যাত পাটের সবুজ সমারহ চোখ ধাঁধিয়ে যায়। বিগত বছরের চেয়ে এবার পাটের ফলনে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন কৃষকরা। ধারণা করা হচ্ছে, উপযুক্ত পরিবেশে পাট পচন প্রক্রিয়াজাত সম্পন্ন করতে পারলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার অধিক ফলন সম্ভাবনা রয়েছে। এতে কৃষকেরা লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন৷
তবে সেই স্বপ্নে বাধ সেধেছে একটি সুইচ গেট। কাদিরপাড়া ইউনিয়নের সব থেকে বড় মাঠ রাধানগর কালিমন্দির থেকে দোরাননগর পর্যন্ত মাঠের দৈর্ঘ্য ৪-৫ কিলোমিটার। এই বিশাল কাদিরপাড়া ব্যঙডুবির বিলের মাঠে নেই কোনো কৃষক ছাওনি, নেই পাঠ পচনের জন্য পানির ব্যবস্থা। ফলে ৯ গ্রামের (কাদিরপাড়া, মাঙ্গনডাঙ্গা, কুপুরিয়া, টিএটি নগর, দোরাননগর, ঘাসিয়ারা, কমলাপুর, গোপালবাড়ি, মাটিকাটা) কৃষকের চোখে মুখে হতাশার ছাপ লেপ্টে বসেছে। এই হতাশা কাটিয়ে উঠতে ৯ গ্রামের কৃষকদের প্রাণের দাবি একটি সুইচ গেট।
কৃষকেরা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কৃষকেরা সেই উন্নয়নের বড় অংশীদার। কাদিরপাড়া ইউনিয়নের ব্যাঙডুব বিলে বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের আমলে বিলের মাঠটির মাঝ দিয়ে দোরাননগর পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কৃষকের চাষের ব্যয় কমেছে বহুগুণ। সহজেই মৌসুমী ফসল ঘরে আনতে পারছে তারা। তবে পানির জন্য পাট মৌসুমে সেই সুবিধা মিলিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমের পানি ধরে রাখার সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় পাট কেটে দূর দুরান্তে পানির ডোবায় নিতে বেগ পেতে হয় কৃষকের। এসময় শ্রমিকের মূল্য বাড়ায় এতে খরচ বেড়ে যায় বহুগুন।
সাবেক ইউপি সদস্য ডা. ওয়াজেদ বলেন, কাদিরপাড়া ইউনিয়নের ব্যাঙডুবির বিলে চাষকৃত পাটের বেশ সুনাম রয়েছে। এবারের চাষকৃত পাট আরো সুন্দর হয়েছে। তবে এই বিলে কোনো পাট পচনের ব্যবস্থা না থাকায় দীর্ঘ মাঠ পাড়ি দিয়ে বাড়িতে টেনে আনতে হয়। এতে পাটের চড়া বাজার মূল্য ধরতে না পারলে লাভের চেয়ে লস হয় এই চাষে। একটি সুইস গেট হলে এই মাঠের চাষীদের জন্য ব্যাপক সুবিধা হতো। এতে পানি আটকে সহজেই পাট পচনের ব্যবস্থা হতো।
ইউনিয়ন আওয়ামী মৎসজীবি লীগ নেতা শামছুল মন্ডল জানান, সুইচ গেটটি হলে এই সরকারের উন্নয়নের জোয়ারের আরো একটি নব ধারা যুক্ত হবে। এতে ৯ টি গ্রামের কৃষকের ভোগান্তি লাঘব হবে। বর্তমান আধুনিক মাগুরা গড়ার রুপকার, মাগুরার উন্নয়নের কারিগর মাগুরা-০১ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. সাইফুজ্জামান শিখর এমপি মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করি।
জেবি/এসবি