কক্সবাজারে মাদক মামলায় রোহিঙ্গাসহ ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:২৯ অপরাহ্ন, ২২শে মে ২০২৩


কক্সবাজারে মাদক মামলায় রোহিঙ্গাসহ ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন
কক্সবাজার জেলা আদালত

কক্সবাজারে মাদক মামলায় এক রোহিঙ্গা নাগরিকসহ সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এসময় আসামিদের প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজার আদেশও দেওয়া হয়েছে।


সোমবার (২২ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালত এ রায় দেন বলে জানান কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।


সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হল, টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া এলাকার মৃত খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে মো. মহরম আলী, একই ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ ডাঙ্গারপাড়ার দুদু মিয়ার ছেলে মো. আমান উল্লাহ, চান্দলী পাড়ার মৃত আবু তালেবের ছেলে আব্দুল মুনাফ ও একই এলাকার আবুল হোসেন ওরফে হাশেমের ছেলে মো. জাহিদ হোসেন এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বড় হাবিরপাড়ার মৃত রশিদ আহমদের ছেলে নুর আলম ও একই এলাকার ফয়সাল আহমদ ওরফে ফজল আহমদ ছেলে আব্দুর শুক্কুর।


এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত অপর আসামি আব্দুল পেডাম উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এইচ-২৪ ব্লকের বাসিন্দা মৃত জামাল হোসেনের ছেলে।


মামলার নথির বরাতে ফরিদুল বলেন, গত ২০২০ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া বড় ডেইল উপকূলবর্তী সাগরপথে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় একটি চালান পাচারের খবর পায় কোস্টগার্ড। পরে কোস্টগার্ডের একটি দল সাগরে সন্দেহজনক একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেয়ে থামার জন্য নির্দেশ দেন। এতে ট্রলারে থাকা লোকজন দ্রুত পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে 'চাঁদনী' নামের ট্রলারটি জব্দ করতে সক্ষম হয়। পরে ট্রলারে থাকা ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।


" এসময় ট্রলারটিতে বিশেষ কৌশলে রাখা অবস্থায় দুইটি বস্তার ভিতরে পাওয়া যায় ৫ লাখ ইয়াবা। "


এ ঘটনায় পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর কোস্টগার্ডের এক সদস্য বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে গত ২০২০ সালের ২৮ নভেম্বর মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশীট) জমা দেন।


এরপর গত ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারী  আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর (চার্জগঠন) আদেশ দেন।


রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল বলেন, সোমবার মামলার রায় ঘোষণার পূর্ব নির্ধারিত দিন ছিল। সকালে আসামিদের কারাগার থেকে আনা হয়। পরে আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের পর দুপুরে বিচারক মামলার রায় ঘোষণা করেন।


পিপি বলেন, " রায় ঘোষণার মামলার সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রত্যেক আসামিকে ৭ বছর যাবজ্জীবন এবং দুই লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এছাড়া জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর করে সাজারও আদেশ দেওয়া হয়েছে। "


আরএক্স/