ক্ষেতলালে বাজারে কাঁচা মরিচসহ চড়া সবজির দাম
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:১৩ অপরাহ্ন, ২৫শে মে ২০২৩
দেশব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে আগে থেকেই ভুগছে সাধারণ মানুষ। এর মধ্যেই আবার গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে কাঁচা মরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম আগের তুলনায় বাড়তি হয়েছে। বিশেষ করে ফুলকপি, পটল, কচুর লতি, কচুর বই, কাকরুল ইত্যাদির দাম সবচেয়ে বেশি। এতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষেরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) পৌর এলাকার কাঁচারিহাটে সবজির বাজারে ঘুরে বিক্রেতাদের থেকে জানা গেছে, পাইকারী বাজারে (মোকামে) ক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতিটি সবজির দাম বেশি হওয়ায় এগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে একটু বেশি।
বাজারে প্রতি কেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় একইভাবে প্রতি কেজি কচুর বই ৮০, কাকরুল ৮০, কচুর লতি ৫০, পটল ৫০, টমেটো ৪০, মুলা ৪০, করোলা ৩০, ঢেঁড়স ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম অনেক বেশি প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
আরো পড়ুন: উত্তাপ ছড়াচ্ছে সবজির বাজার
এছাড়া মিষ্টি কদু ৪০ টাকা কেজি, বেগুন ৪০ টাকা কেজি, বরবটি ৩৫ টাকা কেজি। প্রতি পিচ লাউ ৪০ টাকা, পুঁইশাক দুই তাঁর ১০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা , পাট শাক ১০ টাকা জোরা হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মধ্যে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, রসুন ১৮০, আদা ২৬০ এবং শুঁকনো ঝাল মানভেদে ৪৬০-৪৮০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা পৌর এলাকার মুন্দাইল গ্রামের শামছুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে একই রকমভাবে বাজারে বাড়তি দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। মাঝে মাঝে কোনো কোনো সবজির দাম কিছুটা বাড়ে আবার আগের দামে ফিরে আসে। সবমিলিয়ে বলতে গেলে বাজারে সবজির দাম বাড়তিই যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আমরা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা চলবো কিভাবে।
এদিকে বাজারে সবজি বিক্রেতা জালিয়াপাড়ার ওসমান আলী বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে সবজির বাজার একই রকম যাচ্ছে। বাজার ভেদে কোনো কোনো সবজির দাম ৫/১০ টাকা কম-বেশি হয়। পাইকারি বাজার থেকে মাল কেনার পর পরিবহন খরচ হয়। সে কারণে সামান্য লাভ রেখে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করি।
আরএক্স/