ব্যাথা যায় তাই একটি রান্না করে খেয়েছি শেয়ালের মাংস, আর একটি আছে
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:০৯ অপরাহ্ন, ২৫শে মে ২০২৩
"শরীরের ব্যাথা যায় তাই একটি রানা করে খেয়েছি আর একটি আটকে রেখেছি " এভাবে কোনো গরু, ছাগল কিংবা মুরগি খাওয়ার কথা বলছিল না। বলছিল বন থেকে শিকার করা শিয়ালের কথা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড নবীনপুরের বাসিন্দা হারুন হাওলাদার (৪৫) এই বর্ননা দিচ্ছিলেন অ্যানিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালী’র কলাপাড়া উপজেলা শাখার সদস্য কেএম বাচ্চুর সাথে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেল চারটার সময় পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড নবীনপুর গ্রামের বাসিন্দা হারুনের বাড়িতে শিয়াল জবাই করেছে এমন খবর পেয়ে ওই বাড়িতে থেকে জীবিত অবস্থায় একটি শিয়াল উদ্ধার করে অ্যানিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালী’র কলাপাড়া উপজেলা শাখার সদস্যরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মজিবুর রহমান অ্যানিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালী’র কলাপাড়া উপজেলা শাখার সদস্য কেএম বাচ্চু, শাওন প্রমুখ।
হারুন হাওলাদার বলেন, আমি দুইটি শিয়াল জঙ্গল থেকে ধরেছি। শুনেছি এগুলো রান্না করে খেলে আর শরীরে কোনো ব্যাথা থাকে না তাই একটি রান্না করে খেয়েছি আর একটি খাঁচায় রেখেছি। তবে এগুলো যে দরা নিষেধ তা আমি জানিনা।
অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী’র কলাপাড়া টিমের সদস্য কেএম বাচ্চু বলেন, আমরা গোপন সংবাদে জানতে পারি একটি শিয়াল জবাই করে রান্না করে হচ্ছে। পরে দ্রুত সেখানে গিয়ে রান্না করা শিয়াল খেয়ে ফেলার কারনে আর পাইনি তবে একটি খাঁচায় আঁটকানো অবস্থায় পেয়েছি। সেটাকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে বনবিভাগকে জানিয়েছি।
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম বলেন, ‘বন্যপ্রাণী হত্যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। যেটা উদ্ধার করা হয়েছে সেটা রাতে অবমুক্ত করা হবে।
আরএক্স/