চট্টগ্রাম কাস্টমসে রাজস্ব আদায়ের রেকর্ড
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
করোনা মহামারি সত্ত্বেও রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব পেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। বৈদেশিক বাণিজ্য গতিশীল হওয়ায় আদায় বেড়েছে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
দেশের মোট রাজস্বের বড় একটি অংশ আসে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের শুল্ক থেকে। চট্টগ্রাম বন্দর যার প্রধান উৎস। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে ২৭ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার রাজস্ব পেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। আগের অর্থবছরের একই সময়ে আদায় হয়েছিল ২১ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা।
কাস্টমস হাউজের তথ্য বলছে, অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে প্রধানত ২০টি খাত থেকেই সর্বোচ্চ ১২ হাজার কোটি টাকা শুল্ক আদায় হয়েছে। বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা আসে কয়েক হাজার ধরনের পণ্য থেকে।
এদিকে, শুল্ক দেয়ার ক্ষেত্রে বড় অবদান রাখছে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি শিল্পগ্রুপ। এসব প্রতিষ্ঠানের আমদানি থেকে আসছে সিংহভাগ শুল্ক। এছাড়া সরকারি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও আমদানি খাতে বড় অংকের শুল্ক দিচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘সবাই আমদানি-রপ্তানি ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারাই আমাদের আয়ের প্রধান উৎস।’
নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন উদ্যোক্তাদের স্বস্তি দিচ্ছে। গতিশীল হচ্ছে শিল্প বাণিজ্য।
পিএইচপি ফ্যামিলি চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান বলেন, ‘বিদ্যুতের অল্পতার জন্য মিল-ফ্যাক্টরির ৫০ শতাংশ চালাতাম আমরা। আজকের বিদ্যুতের কোন ঘাটতি নেই। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে শুরু করে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। বিদ্যুতের অভাবে কল-কারখানা এক মিনিটও বন্ধ হচ্ছে না। এগুলোই তো আমাদের অর্জন।’
করোনা মহামারি সত্ত্বেও শুল্ক আদায়ে এমন ইতিবাচক অগ্রগতির পেছনে নিজেদের সৃজনশীল উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার সালাহউদ্দিন রিজভী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত রেভিনিউ আর্নিংয়ের গ্রোথ হলো প্রায় ২৬ শতাংশ। যেটা গত অর্থবছরে একই সময়ে ছিল প্রায় ২৩ শতাংশ।’
দৈনিক গড়ে ৭ হাজার আমদানি-রপ্তানি পণ্যের চালানের বিপরীতে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ। আধুনিকায়নের পাশাপাশি কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে শুল্ক আদায় আরও বাড়ান সম্ভব।
এসএ/