কয়রায় ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ ৬২ কিলোমিটার
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:১১ অপরাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৩
খুলনার কয়রা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৬২ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ রয়েছে। এসব এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারি ঘূর্ণিঝড় আম্ফান ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তাদের এলাকার বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় পানি প্রবেশ করে।
ঐসব এলাকার মানুষ বলেন যদি টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয় তাহলে আমাদের খুব উপকার হবে। বার,বার হারাতে হবেনা জায়গায়-জমি ভিটা-মাটি তখন স্থিতিতে বস-বাস করতে পারবো।
ঝুঁকিপূর্ণবেড়িবাঁধ সম্পর্কে কথা বলেছিলাম মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সাথে তিনি বলেন আমার এলাকায় মোট ঝুঁকি পণ্য বেড়িবাঁধ রয়েছে ৪০কিলোমিটার হোগলা গ্রাম হতে দোষালিয়া,গোবিন্দপুর,মেগারয়াট,লোকা,হায়াতখালির সুবোলের হয়ে বাওলিঘাট ও সুতি বাজার পর্যন্ত।
এসব এলাকায় কোনো টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি।দক্ষিণ বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী বলেন তার ইউনিয়ন ঝুঁকি পণ্য বেড়িবাঁধ রয়েছে ২০ কিলোমিটার গোলখালী,দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে, খানিটানা, জোড়সিংও বিনাপানি।
তিনি আরো বলেন আমার এইসব ঝুঁকি পণ্য বেড়িবাঁধ এলাকায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি।কয়রা সদর ইউনিয়ন এ-র ইউপি চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম বলেন আমার এলাকায় ২ কিলোমিটার ঝুঁকি পণ্য বেড়িবাঁধ রয়েছে সেখানে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলে স্বস্তিতে বসবাস করতে পারেবে। এছাড়া উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নে ঝুঁকি পণ্য বেড়িবাঁধ নেই বলে দাবি করে সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউপি সদস্য গনেষ মন্ডল বলেন কিছু জায়গায় একটু সমষা আছে তাছাড়া তেমন কোনো বড় ঝুঁকি পণ্য জায়গা নেই।
বিষয় টা নিয়ে কথা হয় কয়রা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ এস এম শফিকুল ইসলাম এ-র সাথে তিনি বলেন আমাদের এ-ই অঞ্চল টি ঘূর্ণিঝড় ও জল উচ্ছ্বাস প্রবণ অঞ্চল। প্রায় বছর দূর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙেযায় তবে সরকার কতৃিক অনুমোদিত ১২০কোটি টাকা ব্যয়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাব-বুনিয়া এলাকা থেকে।
আরএক্স/