পাবনায় ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা, বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:১০ অপরাহ্ন, ১লা জুন ২০২৩


পাবনায় ছাত্রলীগ নেতার নামে মামলা, বিভিন্ন মহলের প্রতিবাদ
জামিরুল ইসলাম জনি

পাবনা সদর উপজেলা ইউনিয়নের চরভাড়াঁরা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৪ মে সন্ধ্যায় এজেম বিশ্বাসরা দেশীয় ও অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ইব্রাহিম বিশ্বাসের জমি জবরদখল করতে যায় এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি সংঘর্ষ হয় এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় পাবনা সদর থানায় ইব্রাহিম বিশ্বাস একটি মামলা দায়ের করেন। 


অপরদিকে জায়গা জবরদখল ও হত্যার উদ্দেশ্যে হামলার অভিযোগ এনে এজেম বিশ্বাসও পাবনা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 


এজেম বিশ্বাস পাবনা সদর থানায় যে লিখিত এজাহার দায়ের করেন সেই সূত্রে জানা যায়, ভাড়ারা ইউনিয়ন এর ৭,৮ ,৯ নং সাংগঠনিক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জামিরুল ইসলাম জনিকে ৬নং আসামি করা হয়েছে। 


এজাহারে উল্লেখিত আসামি জামিরুল ইসলাম জনির বিরুদ্ধে বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল ও স্থানীয় পত্রিকাতে ছাত্রলীগের নেতার নাম ভাঙ্গে সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও জবর দখলের অভিযোগ এনে বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ হয়। 


এ বিষয়ে সভাপতি জনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ৭, ৮, ৯ নং সাংগঠনিক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সাংগঠনিক ইউনিয়নে সন্ত্রাসী ও মাদকবিরোধী জনসচেতনা তৈরি করার চেষ্টা করি এবং এই এলাকার সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে সকল ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বোনদের ঘোষণা দেই। এতে স্বার্থান্বেষী মহল এই ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন ও এই মহৎ উদ্যোগকে বন্ধ করার জন্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে সাংবাদিকদের ভুল বুঝিয়ে এবং মামলার বাদী এজেম বিশ্বাসের সাথে যোগসাজোচ্ছে আমার নামে সদর থানায় মামলা করেন এবং বিভিন্ন প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন যাতে করে আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে না পারি এবং এই সাংগঠনিক ইউনিয়নে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম যাতে বন্ধ না হয়। 


আরও পড়ুন: পাবনায় মসলার বাজারে ভোক্তা অধিকারের অভিযান


তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন আমি আমার কর্মস্থল চর বলরামপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের নিয়ে একটি মিটিংয়ে ছিলাম আমি এই ঘটনার সঙ্গে কোনভাবে জড়িত নাই। আমি এই মিথ্যা মামলার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই সেই সাথে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এই ঘটনা সঠিক দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা সহ এই মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানাই।


পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন ,আমরা সাংগঠনিক তদন্ত টিম পাঠিয়েছিলাম ভাড়ারা ৭,৮ ও ৯ নং সাংগঠনিক ইউনিয়নে বিভিন্নভাবে তদন্ত শেষে আমার কাছে যে প্রতিবেদন  দিয়েছে তাতে জনির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নাই, সে কারণে তার বিরুদ্ধে কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নাই।


অপরদিকে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর রাবিউল ইসলাম সীমান্ত বলেন, আমাদের সাংগঠনিক তদন্ত এখনো চলমান আছে তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।


আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে পাবনায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ


ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত থানায় মামলার বিষয়ে অতিরিক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পাবনা সদর সার্কেল হাসিবুল বেনজির বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যটা আমরা বের করে নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ। কোন নিরীহ মানুষ হয়রানি স্বীকার হোক এটা আমাদের কাম্য না।


ভুক্তভোগী পরিবার ও বিভিন্ন সচেতন মহল ছাত্রলীগ নেতার নামে উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলার বিষয়ে নিন্দা জানিয়েছেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


জেবি/ আরএইচ/