বৃষ্টির অভাবে খাঁ খাঁ মাঠ, বীজতলায় নষ্ট আউশ চারা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৩৬ অপরাহ্ন, ৫ই জুন ২০২৩
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আউশ ধান রোপণের শেষ সময় চলে এলেও পানির অভাবে মাঠ বা করছে। খরায় জমি প্রস্তুত করতে না পারায় বীজতলাতেই ধানের চারা নষ্ট হচ্ছে। ফলে চলতি মৌসুমে আউশ আবাদ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
কৃষকেরা জানান, তাঁরা অনেক কষ্ট করে সেচ দিয়ে বীজতলা তৈরি করেছিলেন। কিন্তু চারা রোপণের নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও পানির অভাবে যেত এখনো বা বাঁ করছে। কয়েক দিনের অল্প বৃষ্টিতে অনেকে জমি প্রস্তুত করেছেন, কিন্তু তীব্র খরার কারণে সেই খেত আবার শুকিয়ে গেছে। ফলে কৃষকেরা চারা রোপণ করতে পারছেন না এবং চারাগাছ নষ্ট হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কমলগঞ্জে আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা ১২ হাজার ২৮৮ হেক্টর নির্ধারণ করা হয়। আবাদের মৌসুমের বেশির ভাগ সময় চলে গেলেও মাত্র ২৫১ হেক্টর জমিতে আউশের চারা রোপণ করা হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি না হলে আবাদ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের কৃষক বেলাল আহমদ বলেন, 'সেচ দিয়ে তিন একর জমির বীজতলা তৈরি করেছিলাম। পানির অভাবে এখনো জমিতে চারা রোপণ করতে পারিনি। চারা রোপণের বয়স অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে। খেতে চাষ দিলেও তা পানির অভাবে শুকিয়ে গেছে।'
সরেজমিনে উপজেলার পতনঊষার, শমশেরনগর, মুন্সিবাজার ও রহিমপুর ইউনিয়নে দেখা যায়, কৃষকেরা যন্ত্রের সাহায্যে জমির প্রথম দাপের চাষ শেষ করে রেখেছেন। কয়েক দিনের তীব্র খরায় এসব জমি আবার শুকিয়ে শক্ত হয়ে গেছে। অনেক কৃষকের বীজতলার অতিরিক্ত বয়স হওয়ার কারণে চারা শুকিয়ে নষ্ট হচ্ছে। আবার যারা চারা রোপণ করছেন, তাঁদের অনেককেই খেতে সেচ দিয়ে চারা টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, বৃষ্টির অভাবে আউশ আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে। সময়মতো আউশ ধান চাষ না করতে না পারলে আমন আবাদ পিছিয়ে যাবে। এতে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
আরএক্স/