স্বেচ্ছায় ফিরতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গা পরিবারে আবার দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা

বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে চলমান আলোচনায় প্রত্যাবাসনে স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া ৪ পরিবারের ২৩ রোহিঙ্গাকে যথারীতি মঙ্গলবার (৬ জুন) থেকে আবারো খাদ্য সহায়তা প্রদান শুরু হয়েছে। এসব রোহিঙ্গারা বর্তমানে ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। 

জাতিসংঘের শরাণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর সোমবার সকাল থেকে তাদের খাদ্য সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছিল। একদিন পর মঙ্গলবার থেকে আবার যথারীতি দেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) এবং সরকারের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি জানান, স্বেচ্ছায় দেশে ফিরতে ট্রানজিট ক্যাম্পে অপেক্ষমান ৪ পরিবারের ২৩ জন রোহিঙ্গাকে ইউএনএইচসিআর একদিন খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছিল। এরপর আরআরআরসি অফিসের পক্ষে তাদেরকে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বুঝানোর পর মঙ্গলবার থেকে আবারো যথারীতি খাদ্য দেওয়া শুরু হয়েছে। 

অতিরিক্ত শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো শামছুদ্দৌজা নয়ন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন-‘ বিষয়টি নেহায়েত ভুলবুঝাবুঝি। কতদিনের জন্য এ ৪ টি পরিবারকে খাদ্য সরবরাহ দেওয়া হবে সেটা ইউএনএইচসিআর এর কাছে ধারণা না থাকায় এমন ভুল  বুঝাবুঝি হয়েছে।’ 

তিনি বলেন, পাইলট প্রকল্পে প্রত্যাবাসনে রাজি হয়েছে এই ৪ টি পরিবার। এ চার পরিবারে রয়েছে ২৩ সদস্য। এর মধ্যে রোহিঙ্গা আমির হোসেনের পরিবারে ৫ জন, মোহাম্মদ হাসানের পরিবারে ৭ জন, হোসান জোহারের পরিবারের ৫ জন ও মোহাম্মদ হাসানের পরিবারের ৬ সদস্য রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউএনএইচসিআর এর এক কর্মকর্তাও সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন যে, খাদ্য সরবরাহ পূণরায় দেয়া হচ্ছে। ইউএনএইচসিআর এর কর্মকর্তা আরো জানান, ট্রানজিট ক্যাম্পে অবস্থানরত ৪ পরিবারের সদস্যরা ভাসানচরে ছিলেন। গত ৫ মে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের মিয়ানমারের রাখাইন পরিদর্শনে যাওয়ার আগে ৪ পরিবারের সদস্যদের ভাসানচর থেকে নিয়ে আসা হয় ট্রানজিট ক্যাম্পে।

আরএক্স/