উন্নয়ন দেখে বিএনপির হাঁসফাস শুরু হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, ৭ই জুন ২০২৩


উন্নয়ন দেখে বিএনপির হাঁসফাস শুরু হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় সিলেট জেলার বিয়ানীবাজারে ‘শেওলা স্থলবন্দর’ উদ্বোধন করা হয়েছে। 


বুধবার (৭ জুন) বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত শেওলা স্থলবন্দরটির উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।


শেওলা স্থলবন্দরটি নির্মাণে প্রথম পর্যায়ে ব্যয় হয়েছে ১৩৮ কোটি টাকা। ২২ একর জমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, ওপেন ইয়ার্ড, পার্কিং ইয়ার্ড,  ট্রান্সশিপমেন্ট শেড, দুটি ওয়্যারহাউজ, মাল্টি এজেন্সী সার্ভিস ভবন, ডরমিটরী ভবন, বন্দরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টয়টেল কমপ্লেক্স ও বিশ্রামাগার,  অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, দুটি ডিজিটাল ওয়েব্রীজ স্কেল নির্মাণ করা হয়েছে।


‘শেওলা স্থলবন্দর’ এর বিপরীতে রয়েছে ভারতের আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি এলাকা। এ বন্দর দিয়ে সকল ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। তবে বর্তমানে প্রধানত গবাদিপশু, মাছের পোনা, ফল, গাছ-গাছড়া, বীজ, গম, রাসায়নিক সার, চায়লা ক্লে, কাঠ টিম্বার, চুনাপাথর, কোয়ার্টজ, ফুল আমদানি হয়ে থাকে এবং রপ্তানিযোগ্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য, হস্তশিল্প তথা তাঁতপণ্য, বেতের তৈরি দ্রব্য, ফলমূল, শুঁটকিমাছ, সাতকড়াসহ অন্যান্য পণ্য।


আরও পড়ুন: ভোমরা স্থলবন্দর স্মার্ট গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে পরিচালিত হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী


এ স্থলবন্দরের মাধ্যমে ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্য আসাম রাজ্যের সাথে স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্প্রসারিত হবে। এছাড়া সহজে, দ্রুত ও স্বল্প সময়ে প্রতিবেশী দেশের সাথে পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম সচল রাখার ক্ষেত্রে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। এর ফলে বৈদেশিক বাণিজ্যে বিপুল গতি সঞ্চার হবে। বন্দর কেন্দ্রিক শিল্প-কারখানা গড়ে উঠবে এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।


আরও পড়ুন: নদী তীরের দখল প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী


এ উপলক্ষ্যে এক সুধী সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে । বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে অনেকের গাত্রদাহ হচ্ছে। বিএনপির হাঁসফাস শুরু হয়েছে । তারা একবার আমেরিকা যায়, আরেকবার বিভিন্ন দূতাবাসে যায়। বিভিন্ন দূতাবাস গিয়ে কোন লাভ হবে না। বিএনপি যতই হাঁসফাস করুক না কেন, কোন লাভ হবে না। বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চিত করবে আগামী দিনে কে ক্ষমতায় যাবে। আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের জন্য কাজ করছে। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ হবে কিনা; ২০৩০ সালে উন্নয়নের ভিত্তির উপর দাঁড়াবে কিনা, আগামী প্রজন্মের মাঝে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব তৈরি হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আগামী নির্বাচনে হবে। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়না । তারা এ দেশকে আফগানিস্তান বানাতে চায়। বাংলার মানুষ এটি মানবে না। তিনি বলেন, জাতির পিতার নিরন্তন প্রচেষ্টা ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার । বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্তে আওয়ামীলীগ সরকারের সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে ২০০১ সালের ১৪ই জুন বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তাঁর সঠিক দিক নির্দেশনায় ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১৪টি স্থলবন্দরের উন্নয়ন সম্পন্ন করে অপারেশনাল কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অবশিষ্ট স্থলবন্দরের মধ্যে আমরা আজ যেখানে দাঁড়িয়ে আছি সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার উপজেলায় ‘শেওলা স্থলবন্দর’ একটি।


বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ,  প্রকল্প পরিচালক সারোয়ার আলম, জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, বিজিবির সিইও এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।


জেবি/এসবি